ময়মনসিংহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশো’র বেশি
লোক লোকান্তরঃ লাফিয়ে বাড়ছে ময়মনসিংহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গতকাল বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার পর নতুন করে আরও সাতজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৫ জনে।
বুধবার ১৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে নুতন শনাক্ত ৭ জনের ২ জন ত্রিশালের, সদরের ৫ জন রয়েছে। এছাড়া গাজীপুর কোনাবাড়ীর একজন ময়মনসিংহ এ এসে নমুনা পরীক্ষা করেছে।
আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮ এপ্রিল। এরপর সংখ্যাটি ৫০ অতিক্রম করতে ১৩ দিন সময় নেয়। এর মাত্র ছয় দিন পর ২৭ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ জনে। ১০০ থেকে ২০০ হতে ১২ দিন লাগে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ হতে সময় নেয় মাত্র আট দিন। সবশেষ ২৭ মে আক্রান্তের সংখ্যা চারশো ছাড়িয়েছে।
সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলম বলেন, জেলায় সবচে বেশী আক্রান্ত হয়েছে সদর উপজেলায়। এখানে ২৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫৪ জনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী।
এছাড়া গফরগাঁও উপজেলায় ২৯ জন, ভালুকায় ২৩ জন, ঈশ্বরগঞ্জ ও ধোবাউড়ায় ১৯ জন করে, ফুলপুরে ১৪ জন, মুক্তাগাছায় ১৩ জন, ফুলবাড়িয়ায় ১২ জন সহ জেলার ১৩ উপজেলাতেই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। সদর ছাড়াও ১২টি উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন।
সৌজন্যে – জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহ
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ নেই এমন ২৩০ জন নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছে। মৃদু উপসর্গ নিয়ে ২০ জন রোগী প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
জেলায় আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া দুজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দুরত্ব অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলম। সামনের দিনগুলোতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য সবাইকে সচেতন থেকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
