| রাত ২:১১ - বৃহস্পতিবার - ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মালিকের শিশু মেয়েকে ‘অপহরণে’ দুই ময়মনসিংহের রিকশাচালক কারাগারে

লোক লোকান্তরঃ  রাজধানীর সাঁতারকুল এলাকায় একটি রিকশা গ্যারেজের মালিকের শিশু মেয়ে সামিয়া (৭) কে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই রিকশাচালকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

 

এরা হলেন জাহিদ (২০) ও আ. জলিল (১৯)। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহে। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এদিন তাদের দুজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে বাড্ডা থানা পুলিশ। অপহরণের ঘটনায় বাড্ডা থানায় করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়নি। আদালতে শুনানির সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে জানান তিনি।

 

মামলায় বলা হয়, বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকায় একটি গ্যারেজের রিকশা চালাতেন জাহিদ ও জলিল। সে সুবাদে রিকশা গ্যারেজ মালিকের সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বুধবার বেলা ৩টার দিকে গ্যারেজ মালিকের শিশু মেয়েকে অপহরণ করেন তারা।

 

অপহরণের পর শিশুটিকে সাঁতারকুলের মোগরাদিয়ায় জনৈক জাহাঙ্গীরের মেস বাড়িতে আটকে রাখেন। এরপর তারা গ্যারেজের মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অন্যথায় মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

 

বিষয়টি বাড্ডা থানা পুলিশকে জানান গ্যারেজের মালিক। এরপর বৃহস্পতিবার বাড্ডা থানা পুলিশের অভিযানে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি ধারাল চাকু, রশি ও টেপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার কানদানিয়া গ্রামে।

 

ছবিঃ অপহরণকৃত শিশু সামিয়া।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ | মে ২৩, ২০২০