| ভোর ৫:৫৮ - বুধবার - ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

মুক্তিপণ না দেয়ায় শিশু হত্যা, গ্রেফতার ময়মনসিংহের মাহবুব

লোক লোকান্তরঃ   অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেয়ায় সাড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবক মাহবুব ও রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

গ্রেফতারকৃত মাহবুব ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা থানার পূর্ব শ্রীপুর আকন্দপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে ঐ গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে। আর রাব্বি নেত্রকোনা জেলা কেন্দুয়া থানার বালুরচ গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে। নিহত ওই শিশু গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে শারমিন সুলতানা।

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,  পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে থেকে তিনি একটি খাবার হোটেলের ব্যবসা করতেন। শনিবার সকালে বাসা থেকে খেলতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শারমিন। কিন্তু এরই মধ্যে তাদের পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহবুব (২৭) ও রাব্বি (২০) অপহরণ করে শারমিন সুলতানাকে। পরে তাদের ভাড়া বাসায় আটকে রাখে।

 

এক পর্যায়ে শারমিনের পিতা জাহাঙ্গীর আলমের কাছে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। অন্যদিকে শারমিনকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এরই মধ্যে মাহবুব ও রাব্বির ভাড়া বাসার কক্ষের টয়লেটে শারমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

 

 

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জাবেদুল ইসলাম জানান, নিহত শিশু শারমিন সুলতানার পিতার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে শিশু শারমিন কান্নাকাটি করলে তাকে টয়লেটে নিয়ে গলায় কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ অপহরণকারীদের ভাড়া বাসার টয়লেটে লুকিয়ে রাখে।

 

এ ঘটনায় মাহবুব ও রাব্বি নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের হাতে টাকা পয়সা নেই বলে ওই শিশুকে টাকা পাওয়ার আশায় অপহরণ করেছিল তারা পুলিশকে জানায়।

 

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ | মে ১০, ২০২০