| দুপুর ১২:০০ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আরও একটি করোনা পরীক্ষার মেশিন স্থাপন

লোক লোকান্তরঃ  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত একটি আরটি-পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন দুই ধাপে সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। আর এইদিকে করোনা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) ল্যাবে আসা নমুনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

 

এবার শনাক্তকরণের পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে মমেককে নিজস্ব একটি আরটি (রিয়েল টাইম) পিসিআর মেশিন ও মেশিনটির আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেশিনটি হস্তান্তর করা হয়।

মমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার মেশিনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। আশা করছি, কয়েক দিনের ভেতরেই এটি চালু করা সম্ভব হবে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন দুই শিফটে কাজ করার পরও করোনা শনাক্তের জন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আনা সব নমুনা এক দিনে পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। এজন্য পরীক্ষার চাপ কমাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাকৃবির পিসিআর মেশিনটি এনে ল্যাবে স্থাপনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেশিনটি আমাদের দিয়েছে বাকৃবি। মেশিনটি চালু হলে অনেক বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।

 

বাকৃবি উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দেশের এ ক্রান্তিকালে করোনা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া নানা উদ্যোগে বাকৃবিও অংশ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর মেশিনটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনা শনাক্তকরণের জন্য জনবল এবং আরটি-পিসিআর মেশিন ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজন শেষে মন্ত্রণালয় মেশিনটি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত দেবে।

 

 

উপাচার্য আরও বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ল্যাব স্থাপনে শুরু থেকেই আমরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছি। আমাদের একাধিক অধ্যাপক সেখানে দিন-রাত সময় দিয়েছেন।

 

মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাফি, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জায়েদুল হাসান, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসেন এবং রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ছাইফুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বরাবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এবং পরদিন মমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ এ সংক্রান্ত চিঠি দিলে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের সম্মতিতে উপাচার্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:১৫ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৩, ২০২০