| ভোর ৫:৪৪ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে আনা নেয়া হচ্ছে রোজিনার মরদেহ

লোক লোকান্তরঃ  রাজধানীর বনানীতে বাসের চাকায় পা হারানো রোজিনার (১৮) মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তার স্বজনরা। রোববার আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই রোজিনার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই রোজিনার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা রোজিনার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

 

এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থেকে রোজিনার মৃত্যু হয়।

 

ময়মনসিংহের মেয়ে রোজিনার বাবার নাম রুসুল মিয়া। সাত সন্তানের মধ্যে রোজিনা দ্বিতীয়। তার মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাও গ্রামে।

 

২০ এপ্রিল রাত ৯টায় বনানীতে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস রোজিনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে রোজিনার ডান পা গুরুতর জখম হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই বাসের চালক শফিকুল ইসলাম মুন্নাকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

রোজিনা নিকেতনের ১২ নম্বর সড়কে সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ওইদিন এক বান্ধবীর বাসা থেকে ফেরার পথে তিনি এ দুর্ঘটনার শিকার হন।

 

এর আগে বনানীতে বিআরটিসির বাসে চাপা পড়ে পা হারানোর পরপরই তাকে অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে ২৫ এপ্রিল তাকে ঢামেক হাসপাতলের বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়।

 

পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থেকে আজ তার মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:০৬ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৯, ২০১৮