| বিকাল ৩:৩৭ - বুধবার - ২৭শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৬ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

জেনে নিন ২০১৮ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

লোক লোকান্তরঃ   ১৪৩৯ হিজরি সনের (২০১৮) শাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হয় তবে আগামী ১৭ মে থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। আর যদি শাবান মাস পূর্ণ ৩০ দিনে সম্পন্ন হয় তবে ১৮ মে থেকে শুরু হবে এবারের রমজান মাস।

 

গত সোমবার ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ২০১৮ সালের রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছেন।

 

ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. মোজাহারুল মান্নান, উপ-পরিচালক মো হারেস সিনহা, সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ মুজিবুল হক, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান ও মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারি কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

উল্লেখ্য যে, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদেকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরুর সময় সুবহে সাদেকের ৩ মিনিট পর রাখা হয়েছে।

অতএব সাহরির গ্রহণের জন্য সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে। আবার সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজানে রোজা পালন বাধ্যতামূলক। নিচে রোজা রাখা ও ইফতারের নিয়ত উল্লেখ করা হলো।

রোজা রাখার নিয়ত:

نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم

 

 

(নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম)

অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

 

রোজার বাংলা নিয়তঃ
হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।

 

ইফতারের দোয়া:

(আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর্ হামার রা-হিমীন।)

 

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

 

ইফতারের বাংলা দোয়াঃ
হে আল্লাহ তায়ালা আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমাজানের ফরয রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনেই রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার আরম্ভ করছি। তারপর “বিসমিল্লাহি ওয়া’আলা বারাকাতিল্লাহ” বলে ইফতার করা।

 

ছবিঃ সংগৃহীত

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২৭, ২০১৮