| রাত ১:৪৬ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আইসক্রিমে অমঙ্গল গরমে

লোক লোকান্তর: শুধু আইসক্রিম নয়, শীতল কোমল পানীয় বা তান্দুরি চিকেন-ধরনের খাবারও গরমকালে না খাওয়াই শ্রেয়।

 

তথ্যটা জেনে আক্কেল-গুড়ুম! তবে পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় গরমে শীতল ও বরফজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে, গরমে কোন ধরনের খাবার শরীরে কী ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটায়, সেসব নিয়েই এই আয়োজন।

 

প্রতিটি খাবারের আছে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য। শরীরর উপর যার প্রভাব হতে পারে উষ্ণ কিংবা শীতল। আর এই প্রভাবে প্রভাবিত হয় শরীরে বিপাকক্রিয়া ও হজম-ক্ষমতা।

 

গ্রীষ্মের সঙ্গে মোকাবেলা করার অত্যন্ত সাধারণ উপায় হল কোন খাবারগুলো শরীর ঠা-া ও গরম করে তা জানা এবং শরীর ঠা-া রাখে এমন খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া।

 

স্বাভাবিক নিয়মে প্রচুর পরিমাণে পানি পান, ফল ও সবজি খাওয়াই সবচাইতে ভালো।যে খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত

 

আইসক্রিম: খেতে ঠা-া লাগলেও এই খাবার পেটে গিয়ে শরীর গরম করে। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, আমিষ ও কার্বোহাইড্রেইট যা হজম করার সময় শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়। আবার এতে আছে উচ্চমাত্রায় চিনি এবং ক্যালরি, আইসক্রিম থেকে দূরে থাকার এই দুটি কারণও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

 

কোমল পানীয়: এতেও ক্যালরি থাকে প্রচুর। তাই শরীরের অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। কোমল পানীয় পান করার কিছুক্ষণের মধ্যে শরীরে বিপাক-প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায়, ফলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। তাই প্রচ- গরমে কোমল পানীয় পান না করে পানি পান করার অভ্যাস করা ভালো।

 

ঝাল খাবার: আড্ডায় বসে ঝাল, মসলাদার খাবার খাওয়া কার না পছন্দ। তবে গরমের দিনগুলোতে এইটুকু ত্যাগ আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। কাঁচামরিচ, আদা, শুকনা মরিচ, এলাচ, দারুচিনি ইত্যাদি সবই ‘থারমোজেনিক’। যার মানে হল এগুলো খেলে বিপাকক্রিয়ার গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে শরীরে তাপ উৎপন্ন করে।

 

সবজি ছাড়া ও তান্দুরি খাবার : বার্গার কিংবা তান্দুরি চিকেন খাওয়ার লোভ সবসময় সামলে রাখা যায় না। তবে এই মাংসে থাকা ‘টার’ বা পোড়ানোর কারণে জমা হওয়া কার্বন স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। লাল-মাংস, ডিম, চিংড়ি মাছ, স্কুইড, কাকড়া শরীরে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। এর বদলে গ্রিল করা মাংস ও সবজি খেতে পারেন।

 

চা ও কফি: পানীয় দুটি ‘ডাইউরেটিক’ বা মূত্রবর্ধক পানীয় হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ এগুলো শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও চিনি বের করার জন্য বারবার শৌচাগার যাওয়ার তাদিগ দেবে। ফলে শরীরের পানির অভাব হবে। তাই চা এবং কফি পরিমাণে কম পান করতে হবে। এর বদলে ফলের রস পান করা সবচেয়ে ভালো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ | মার্চ ২৫, ২০১৮