| বিকাল ৩:২৪ - বুধবার - ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঝালমুড়ি-ফুচকা-আচারে টাইফয়েডের জীবাণু

লোক লোকান্তর:জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা গবেষণাগারের (এনএফএসএল) এক জরিপে দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিক্রি হওয়া ঝালমুড়ি, ফুচকা, ভেলপুরি ও আচারে টাইফয়েডের জীবাণু রয়েছে।

 

এ ছাড়া ২৫ শতাংশ নুডলসে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম প্রোটিন পাওয়া গেছে।শনিবার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এনএফএসএলের ৪৬৫টি নমুনার গুণগত মান পরীক্ষার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

 

ইনস্টিটিউটর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি পাঁচটি ব্র্যান্ডের সেমাইয়ের মধ্যে তিনটিতে আর ১০টি খোলা সেমাইয়ের সবগুলোতেই প্রোটিন কম ছিল। আর ২০ শতাংশ ব্র্যান্ডের সেমাই ও ৮০ শতাংশ খোলা সেমাইয়ের ব্যাপক মোল্ডের উপস্থিতি ছিল। যদিও যেকোনো পণ্যেই মোল্ডের উপস্থিতি মানেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

 

রাজধানী ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, ফরিদপুর, পাবনা ও যশোর এ পাঁচ শহর থেকে ঘি, সরিষা ও সয়াবিন তেল, সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, ফুলকপি, বেগুন, শিম, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও নুডুলসের প্রায় পাঁচশ নমুনা সংগ্রহ করে পেস্টিসাইড, রং, আফলা টক্সিনের উপস্থিতি ও মাইক্রোবায়োরজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এসব খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষায় হাতেগোনা দুই একটি ছাড়া প্রায় সব খাদ্য ও খাদ্যসামগ্রীতে কম-বেশি ভেজাল থাকার প্রমাণ মিলেছে।

 

জরিপে উঠে এসেছে, সয়াবিন তেল, সরিষা এবং ঘির ১০২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার পর মাত্র তিনটি নমুনাতে সব কিছু মান অনুযায়ী পাওয়া গেছে।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫-১৬ মেয়াদে প্রথম সার্ভে কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ সালে নুডুলস, ঘি, সরিষা ও সয়াবিন তেল, সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, ফুলকপি, বেগুন, শিম, কাঁচা মরিচ, টমেটোসহ সর্বমোট ৪৬৫টি নমুনা পেস্টিসাইড, রং, আফলা টক্সিনের উপস্থিতি মাইক্রোবায়োরজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।

 

নমুনাসমূহ ফুড গ্রেড ব্যাগে সংগ্রহ এবং নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী এনএফএসএলে প্রেরণ, সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নির্ধারিত পরীক্ষা পদ্ধতি যা এনএফএসএলে ভেলিডেটেড এবং পাবলিশড পরীক্ষা পদ্ধতিতে করা হয়। মাইক্রোবায়েলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাগে, নির্দিষ্ট নিয়মে নমুনা সংগ্রহ, পরিবহন, সংরক্ষণ এবং পরীক্ষা করা হয়।

 

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেই।

 

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালক ডা. মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ল্যাবরেটরির প্রধান প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী জরিপ ফলাফল উপস্থাপন করেন।

 

এ সময় বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) সিনিয়র ন্যাশনাল অ্যাডভাইজর প্রফেসর শাহমনির হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, খাদ্য নিরাপত্তা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) চেয়ারপারসন ড. এস কে রয় বিশেষ অতিথি ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১:৪৩ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৪, ২০১৭