এইচএসসিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা পাস ৭৪.৭০ শতাংশ, জিপিএ পাঁচ পেয়েছে ৫৮ হাজার, জিপিএ পাঁচ বেশি ঢাকায়
এফএনএস: উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৮২ জন।
এদিকে, চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হারের দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে আছে। ছাত্রদের মধ্যে যেখানে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছাত্র; সেখানে ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ ছাত্রী এবার পাস করেছে।
শিৰামন্ত্রী নুর্বল ইসলাম নাহিদ গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন। ফলাফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা সেরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আরেকটু বেশি আনন্দিত যে আমাদের মেয়ে শিৰার্থী বেড়ে গেছে এবং তাদের পাসের হার বাড়ছে। তবে এখানে আমি মনে করি, ছেলে মেয়ে যেই হোক, সন্তান সন্তানই। যারা এবার কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের ‘আরেকটু মনোযোগী’ হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবক ও শিক্ষকদের বলেন ‘আরেকটু যত্নবান’ হতে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুর্বত্ব দিয়েছিলেন, তেমনি তার সরকারও শিৰায় সবচেয়ে গুর্বত্ব দিচ্ছে, কেননা দরিদ্রমুক্ত দেশগঠনের পরিকল্পনায় মূল হাতিয়ারই শিৰা। এবার পরীৰায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ। বেলা ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি। তারপর বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), , নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানতে পারবে। চলতি বছর ৩ এপ্রিল থেকে ১২ জুন এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলে। এরপর ১১ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত চলে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
৮৪৮ কলেজে সবাই পাস, সবাই ফেল ২৫ প্রতিষ্ঠানে: এইচএসসি ও সমমানের পরীৰায় এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে ২৮৫টি কমেছে; সেইসঙ্গে কমেছে ‘কেউ পাস করেনি’ এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৮ হাজার ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীৰায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৮৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেছে, গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৩৩টি। আর ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার পাস করতে পারেনি; গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৩৫টি। সেই হিসেবে এবার শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০টি কমেছে।
যা কিছু বেড়েছে এ বছর: গত বছরের তুলনায় চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীৰায় বেড়েছে পরীৰার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীৰায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। বেড়েছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হারও। বৃহস্পতিবার চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীৰার ফল প্রকাশ উপলৰে সচিবালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন শিৰামন্ত্রী নুর্বল ইসলাম নাহিদ। সংবাদ সম্মেলনে শিৰামন্ত্রী জানান, পরীৰা শেষ হওয়ার নির্ধারিত ৬০ দিন আগেই ৫৭তম দিনে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর অংশগ্রহণকারী পরীৰার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬ জন। চলতি বছর ওই পরীৰায় অংশ নেন ১২ লাখ তিন হাজার ৬৪০ জন। এর আগের বছর ওই সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জন। চলতি বছর পাস করেছে আট লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর এক লাখ ৬০ হাজার ২৭৮ জন বেশি পাস করেছে। শতকরা হিসাবে চলতি বছর পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত বছর ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিৰা বোর্ডে এইচএসসি পরীৰায় অংশ নেয় ১০ লাখ সাত হাজার ৫৩ পরীৰার্থী। গত বছর অংশ নেওয়া পরীৰার্থীর সংখ্যা ছিল আট লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৬ জন। আটটি শিৰা বোর্ডে পাস করেছে সাত লাখ ২৯ হাজার ৮০৩ জন, যা গতবারের তুলনায় এক লাখ ৫২ হাজার ৭১৬ জন বেশি। আটটি বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আট বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৮ হাজার ৯৫০ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৭২১ জন।
পাসের হার কমেছে মাদ্রাসা বোর্ডে: মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে এ বছর আলিম পরীৰায় অংশ নেয় ৮৯ হাজার ৬০৩ পরীক্ষার্থী। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বাড়লেও কমেছে পাসের হার। এ বছর আলিম পরীৰায় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত বছর যা ছিল ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪১৪ জন। গত বছর ওই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৩৫ জন। এ বছর আলিম পরীৰায় পাস করেছে ৭৯ হাজার ২০ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৪৬১ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর চার হাজার ৫৫৯ জন বেশি পাস করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ছিল বেশি। গত বছর ৮২ হাজার ৫৫৮ পরীৰার্থী অংশ নেয়। এ বছর সাত হাজার ৪৫ জন বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
পরীক্ষার্থী বেড়েছে কারিগরি বোর্ডে: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছর এইচএসসি পরীৰায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। চলতি বছরে কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এক লাখ দুই হাজার ২৪৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ২৯৬ জন। গত বছরের তুলনায় এবার তিন হাজার ৯৫২ জন বেশি অংশ নিয়েছে ওই পরীৰায়। চলতি বছর ওই পরীৰায় পাস করেছে ৮৬ হাজার ৪৬৯ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ১২৫ জন। কারিগরি বোর্ডে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৫৮৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ১৫৭ জন বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।
বেড়েছে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: গত বছরের তুলনায় এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীৰায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছর অংশ নিয়েছে আট হাজার ৩৪৫টি। গত বছর অংশ নেয় আট হাজার ২৯৪টি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৪৮টি। তা অবশ্য গতবারের তুলনায় কমেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৩৩টি। এ বছর ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করতে পারেনি। গতবার এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৫।
বিদেশ কেন্দ্রের তথ্য: দেশের বাইরে সাতটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৪৮ পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩২ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫৩ জন।
জিপিএ পাঁচে শীর্ষ ঢাকা, পাসে যশোর: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সবচেয়ে কম পাস করেছেন কুমিলৱা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শীর্ষে যশোর বোর্ড। সবচেয়ে কম ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ পাসের হার কুমিল্লা বোর্ডে। ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রাজশাহী বোর্ড এবং ৭৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ে ঢাকা বোর্ডের অবস্থান তৃতীয়। চতুর্থ অবস্থানে থাকা দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪, ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে বরিশাল বোর্ড, পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে সিলেট বোর্ড এবং সপ্তম স’ানে থাকা চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিৰা বোর্ডের বাইরে পাসের হারে এগিয়ে মাদ্রাসা শিৰা বোর্ড, ৮৮ হাজার ১৯ শতাংশ। এরপরই কারিগরি বোর্ডের বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিৰার্থী পাস করেছেন। এছাড়া ডিপেৱামা ইন বিজনেস স্টাডিজে (ডিআইবিএস) পাসের হার ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আট সাধারণ শিৰা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া শিৰার্থী ঢাকা বোর্ডে। এই বোর্ডে পূর্ণ জিপিএ পেয়েছেন ২৮ হাজার ১১০ জন। এরপরই যশোর বোর্ডের শিৰার্থীদের অবস’ান। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৬ জন। ৩ হাজার ৮৯৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন দিনাজপুর বোর্ডে। এছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে ২ হাজার ২৫৩, কুমিলৱায় এক হাজার ৯১২, সিলেটে এক হাজার ৩৩০ এবং বরিশালে ৭৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মাদ্রাসা বোর্ডে ২ হাজার ৪১৪ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ছয় হাজার ৫৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ডিআইবিএসে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩২৫ জন।
সিলেটে পাঁচ বছরের মধ্যে খারাপ ফল: সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে খারাপ ফল এসছে এ বোর্ডে। বোর্ডে এবার পাশের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছর ১ হাজার ৩৫৬ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এবার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩০ জন। এবার মোট ৬৩ হাজার ৯৫৯ জন শিৰার্থী পরীৰায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৪৩ হাজার ৮৭০ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের পরীৰা নিয়ন্ত্রক মো. শামসুল ইসলাম। ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করায় এবার ফল খারাপ হয়েছে বলে মনে করেন বোর্ড কর্মকর্তারা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল বলেন, গতবছর ইংরেজি বিষয়ে ৮৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শিৰার্থী পাস করলেও এবার পাস করেছেন ৭৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে গতবছর ৯৮ শতাংশ শিৰার্থী পাস করলেও এবার পাস করেছেন ৯৩ শতাংশ। এ দু’টি বিষয় আবশ্যিক হওয়ায় ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। তবে ফল বেশি খারাপ হয়েছে এমনটা মানতে নারাজ পরীৰা নিয়ন্ত্রক শাসমুল ইসলাম। তার মতে, সার্বিক ফলাফল ভালই হয়েছে। দেশের অন্যান্য বোর্ডের ফলাফল বিশেৱষন করলে ফল বেশি খারাপ হয়েছে বলা যাবেনা, বলেন তিনি। সিলেট বোর্ডের অধীনে চার জেলায় পাসের হার- সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩০, হবিগঞ্জে ৬৭ দশমিক ২০, মৌলভীবাজারে ৬০ দশমিক ৬২ ও সুনামগঞ্জে ৬৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
বরাবরের মতোই যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে পারছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। আলিমের ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে লিখে স্পেস দিয়ে লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইলে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে আগামী ১৯ থেকে ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অৰর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-চওঘ) দেয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এৰেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।