বিদ্যালয় মাঠ নয়, এ যেন পুকুর!

আজহারল হক, গফরগাঁও
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের প্রায় পুরোটা জুড়েই অথই পানি। সামান্য অংশ কাদা জলে একাকার। দৃশ্যত এ যেন একটি পুকুর। চারদিকে ভবন না থাকলে দেখে বোঝার কোন উপায় ছিল না এটি বিদ্যালয়ের মাঠ। বর্ষার শুর্বতেই এ দুটি বিদ্যালয় মাঠ পানিতে ডুবে আছে। ফলে শিৰার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়ে পাঠ শেষে তারা শ্রেণীকৰে বসে বসে গল্প করে সময় কাটায়। অনেক শিৰার্থী এমন বিদ্যালয়ে আসতেও চায় না। বিদ্যালয় ও স’ানীয়রা জানিয়েছেন প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিই অবস’া খার্বয়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক ও খার্বয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের। একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের শিৰক-শিৰার্থীরা জানায়, গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ভরাইল উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এবারও এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি। ১০ম শ্রেণীর শিৰার্থী হনুফা আক্তার লিয়া জানায় বর্ষা শুর্ব হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয় মাঠে তারা আর খেলাধুলা করতে পারে নি। ৫ম শ্রেণীর শিৰার্থী মনিরা বেগম বলে টিফিনের সময়েও শ্রেণীকৰের ভেতরেই বাধ্য হয়ে বসে থাকতে হয়। মাঠে পানি ও কাদা থাকায় বিদ্যালয়ে আসতেও মন সায় দেয় না। বৃষ্টি একটু বেশি হলে বিদ্যালয়ের বারান্দায় পানি উঠে পড়ে। স’ানীয় বাসিন্ধারা বলেন, আমরা এলাকাবাসী ব্যাক্তিগতভাবে ইউপি চেয়ারম্যানসহ নেতৃবৃন্দকে অসংখ্যবার জানালেও কোন ফল হয়নি। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে পানি ও কাদা থাকায় শিৰার্থীরা সকলেই বাইরে বের হতে না পেরে শ্রেণীকৰে বসে গল্প করছে। ক্লাস শেষে পায়ের জুতা জুড়াগুলো হাতে নিয়ে পানি ভেঙ্গে বাড়ি ফিরছে। খার্বয়া বড়াইল বিদ্যালয়ের প্রধান শিৰক ভিনা দেবনাথ ও খার্বয়া বড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিৰক আনিছুজ্জামান বলেন, শিৰার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য খেলাধুলা অবশ্যই গুর্বত্বপূর্ন। বছরের উলেৱখযোগ্য সময় বিদ্যালয় মাঠ পানিতে ডুবে থাকার কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা মাঠে খেলতে পারে না। এভাবে কোন বিদ্যালয় চলতে পারে না। মাঠটিতে মাটি ভরাট করে উচু করে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলতে আমাদের পৰ থেকে একাধিকবার আবেদন জানানো হয়েছে। তবে সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রকার সহযোগিতা বা বরাদ্ধ না পাওয়ায় মাঠটি সংস্কার করা যাচ্ছে না। মাঠটি সংস্কার করতে না পারলে শিৰার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হতেই থাকবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিৰা কর্মকর্তা আনোয়ার্বল ইসলাম বলেন, খোঁজ নিতে আগামীকাল একজন সহকারী শিৰা কর্মকর্তাকে পাঠানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস’া নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। এখন শিৰার্থীরা যাতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত না নয় সে লৰে খুব শিগগির মাঠটি সংস্কারের জন্য আমি জোর চেষ্টা চালাব।