ঝিনাইগাতীতে মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন সংরক্ষণ ও জীবন্ত করার দাবীতে মানববন্ধন

এম খলিলুর রহমান ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা ঃ
“মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলি” এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত উপজেলার “কাটাখালী” ব্রীজের মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন সংরক্ষণ ও জীবন্ত করার দাবীতে ১২আগষ্ট শুক্রবার পড়ন্ত বিকালে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা ১৮ বছর বয়স সংগঠনের আয়োজনে চরাঞ্চল ছাত্র ঐক্য পরিষদ, কালীবাড়ী বাজার এলাকাবাসী ও বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দলন কমিটির সহযোগীতায় এবং আমরা ১৮ বছর বয়স সংগঠনের সভাপতি তুষার আল নূর এর সভাপতিত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নাজমুল হাসানের স্মৃতি জড়িত কাটাখালী ব্রীজকে ধ্বংশ না করে নাজমুল স্মৃতি সৌধ নির্মাণের সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জেলার চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ও শহীদ নাজমুলের ভাই সাইফুল ইসলাম সেলিম, জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও শহীদ পরিবারের কন্যা আঞ্জুমনোয়ারা লিপি, শেরপুর জেলা শাখার ফেলো আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর জেলার আহবায়ক সাইফুল আলম শাহীন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সেক্রেটারী সাবিহা জামান শাপলা, জেলা মানবধিকার সংস’ার সভাপতি এডভোকেট শক্তিপদ পাল, উপজেলা জাসদের সেক্রেটারী এ,কে,এম ছামেদুল হক, ঝিনাইগাতী ইউপি চেয়ারম্যান নুর্বল ইসলাম তোতা, উপজেলা কৃষকলীগ নেতা আব্দুল কাদের, আ’লীগ নেতা নমছের আলম, চরাঞ্চল ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দলন কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ৬জুলাই পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস’ করতে শহীদ নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা যখন উপজেলার কাটাখালী ব্রীজ ভেঙ্গে উড়িয়ে দিয়ে রাঙ্গামাটিয়ায় এক বাড়ীতে আত্মগোপনে চলে যায়, এমন সময় জালাল উদ্দিন মিস্ত্রি নামে এক রাজাকার পাক বাহিনীকে খবর দেয়। সেই দিনই পাক বাহিনীর দল আক্রমণ করে শহীদ নাজমুল হাসান সহ আরো অনেককে হত্যা করে। এদিকে স্বাধীনতার ৪৪বছর পেরিয়ে গেলেও সেই স্মৃতি বিজড়িত স’ানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কোন স্মৃতি স্তম্ভ তৈরী না করে বরং শেরপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোন প্রকার টেন্ডার না দিয়ে পিচ কমিটির সদস্য মৃত লস্কর আলীর ছেলে আল বদর বাহিনীর সদস্য ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নৈঃশ প্রহরী আবু হারেজের নেতৃত্বে রাতের আধারে ব্রীজটি ভাঙ্গা শুর্ব করলে এ নিয়ে স’ানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই কারণে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মৃতি বিজড়িত কাটাখালী ব্রীজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাস্তবায়ন করে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ করার জন্য জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানে সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান।