| সকাল ১০:২৬ - সোমবার - ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে আলোচিত জনতা ব্যাংকের টাকা লুটের মামলার রায়: তিন নিরাপত্তা রক্ষীকে বেকসুর খালাস

শেরপুর সংবাদদাতা:   প্রায় এক দশক পর শেরপুরে আলোচিত জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা চুরির মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ব্যাংকের সাবেক তিন নিরাপত্তা রক্ষী মো. সাহেব আলী (৫৭), মো. সুলতান আহম্মেদ (৬১) ও মজিবর রহমানকে (৫৩) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিচার কাজ চলাকালে মামলার আরেক আসামি সাবেক নিরাপত্তা রক্ষী মো. শেখ শওকত আলী মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আজ ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত থেকে ১৭ মার্চ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে কোন এক সময় শেরপুর জেলা শহরের মুন্সিবাজার (শহীদ বুলবুল সড়ক) এলাকায় অবস্থিত জনতা ব্যাংক, শেরপুর শাখার ভল্ট ভেঙ্গে কে বা কারা এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা চুরি করে নেন। ওই বছরের ১৭ মার্চ শনিবার রাত নয়টার দিকে ব্যাংকের তৎকালিন দ্বিতীয় কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের নিকট থেকে মুঠোফোনে ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপক সিরাজউদদৌলা জানতে পারেন যে, ব্যাংকের ভল্টের তালা ভাঙ্গা। এ সংবাদ পেয়ে ব্যবস্থাপক সিরাজউদদৌলা ও ব্যাংকের জামালপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ওইদিন রাতেই ব্যাংক কার্যালয়ে আসেন। এ সময় শেরপুর সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে আসেন। ব্যাংক ও পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যাংক কার্যালয়ে এসে ব্যাংকের ভল্টের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান এবং ভল্টের ভেতরে ব্যাংকের সাবেক নিরাপত্তারক্ষী মজিবর রহমানের ব্যাংকের পোশাক পাওয়া যায়। ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাংকের ভল্টে টাকা গুনে এক কোটি ৩০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা কম পাওয়া যায়। কিন্তু ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংক বন্ধ করার সময় ব্যাংকের ভল্টে দুই কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬২০ টাকা রক্ষিত ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপক সিরাজউদদৌলা খান বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ খালাসপ্রাপ্ত তিন নিরাপত্তারক্ষীসহ চারজনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তৎকালিন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস তদন্তশেষে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর দন্ডবিধির ৩৮১ ধারায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণশেষে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের সাবেক তিন নিরাপত্তারক্ষী সাহেব আলী, সুলতান আহম্মেদ ও মজিবর রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান  করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফারহানা পারভীন ও আসামীপক্ষে নারায়ণ চন্দ্র হোড় মামলাটি পরিচালনা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১১, ২০১৬