আরইবির বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে চলছে পিডিবির বিদ্যুৎ ঃ ১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং, গ্রাহকদের মাথায় হাত

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা – কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিংএর কারণে গত ১৫ দিন ধরে বিপাকে আছে। একই দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তৃপৰের নানা অজুহাত দেখিয়ে বলছে পিডিবির প্রজেক্ট্রের বিদ্যুৎ লাইনের কাজ থাকার কারণে কিশোরগঞ্জ হতে কটিয়াদী ও বাজিতপুরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বর্তমানে পিডিবির লাইন বন্ধ থাকার কারণে আরইবির লাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। জানাযায়, একদিকে লোডশেডিং যেমন নাচুর বান্ধা হয়ে চলছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশু বৃদ্ধ সহ সকল বয়সের লোকজনেরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঘনঘন লোডশেডিংএর ফলে বাসাবাড়ির টিভি ফ্রিজ বিদ্যুতিক ফ্যান, টেলিভিশন যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে কয়েল ফ্যাক্টরী ফিট মিল সহ অসংখ্য মিল কারখানার মটর নষ্ট হতে যা্েচছ। এই ব্যাপারে ফিড মিল ব্যবসায়ী আজিজুল হক হানিফ জানান, বিদ্যুতের লো ভেল্টেজের কারণে মটর নষ্ট হওয়ার কারণে ব্যবসা অনেক টা বন্ধ হওয়ার পথে। এতে শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে এমনকি ব্যবসায়ীরা সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে পথে বসার উপক্রম হচ্ছে এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া একবারে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, আবাসিক প্রকৌশলী বাধ্যতামূলক ভাবে গ্রাহকদের গাড়ে গড়ে কমপৰে ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক দের গাড়ে গড়ে ৩০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছেন গত কয়েক মাস আগে। বাজিতপুরের মাঝে মধ্যে ২-১টি অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন কাটা হলেও সার্বিক ভাবে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীরা ষ্ঠীলবডি নৌকার ডগ, নৌকার গ্যারেজ, অটো গ্যারেজে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধরাকে সড়াজ্ঞান করার জন্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপর আবাসিক প্রকৌশলী ও তার পরামর্শ দাতারা গ্রাহকদের উপর এর গড় বিল চালু করেছে। এই বিষয়ে আবাসিক প্রকৌশলী সালাহ্ উদ্দিন খান গতকাল সোমবার দুপুরে জানান, পিডিবির প্রজেক্টের কাজ চলার কারণে গত কয়েক দিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।