ময়মনসিংহে শেখ জামাল-চ. আবাহনী ম্যাচ ড্র, স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক

ফাহিম মোঃ শাকিলঃ দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবলের আসর বিপিএল ময়মনসিংহ পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
শুক্রবার নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা বিলম্ব করে ম্যাচটি শুরু হয়। ম্যাচ পূর্বে শোকের মাস হিসেবে ১মিনিটের জন্য নিরবতা পালন করা হয়। প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দুর্দান্ত খেলা উপহার দেন দুই দলের ফুটবলাররাই।
ম্যাচ শুরুর প্রথম থেকেই আবাহনী চাপের মুখে পরে শেখ জামাল। ২২ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী’র রুবেল মিয়া গোল করার সহজ সুযোগ হাত ছাড়া করেন। এর পর ২৭ মিনিটের সময়ও পুনরায় একই কাজ করেন। ম্যাচের ৩৬ মিনিটের চট্টগ্রাম আবাহনীর একটি দারুণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেখ জামালের গোলবারের ডান দিক থেকে ইব্রাহিমের দারুণ একটি পাস চলে আসে ডি-বক্সে। তবে, কোনো সতীর্থ না থাকায় চট্টগ্রাম আবাহনী গোলের দেখা পায়নি। খেলার ৪১ মিনিটে শেখ জামাল একটি সুযোগ তৈরি করলেও তার বাঁধা হয়ে দাড়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীর গোল রক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম রানা। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই ম্যাচের মাঝে কিছুটা দুর্বল প্রদর্শনী দেখায়। ৬৬ মিনিটের মাথায় শেখ জামালের স্ট্রাইকার এমেকা ডার্লিংটনকে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা ধরেন। এসময় তাকে রুখতে না পেরে ইয়ামিন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরিনামে ইয়ামিনকে রেফারী হলুদ কার্ড দেখান। ম্যাচের বাকি সময়ে কোনো গোল না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল।
ম্যাচ শুরুর আগে ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বিপিএল ময়মনসিংহ পর্বের উদ্বোধনী করেন।
এসময় আরিফ খান জয় বলেন, এই রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে খেলার মধ্য দিয়ে তার পেশাদারি ফুটবল জগতে আসা। তিনি আসা করেন সামনে এই ধরনের বড় আসর যাতে ময়মনসিংহে আনা যায় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
তবে দুই যুগ পর ফুটবলের বড় কোন আসরের অংশীদার হতে পেরে ময়মনসিংহবাসী’র আনন্দের সীমা ছিল না। অন্য দিনের তুলনায় আজ বিক্রিও বেশি হয়েছে। টিকেটের জন্য ছিল লম্বা লাইন। এধরনের দৃশ ময়মনসিংহবাসী সহজে দেখতে পায় না। কেউ কেউ অবশ্য টিকেট ক্রয়ে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছেন।
আগত ফুটবল প্রেমী দর্শক ইমন,জর্জ, সুমন, শিশির জানান, ৪৫ টাকার টিকেট সংগ্রহ করতে হয়েছে ৮০ টাকায় আর ১০০ টাকার টিকেট সংগ্রহ করতে হয়েছে ১৫০ টাকায়। এদিকে দেশের বর্তমান অবস্থা মাথায় রেখে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। প্রায় দু’শতাধিক র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করছে।
আয়োজকরা বলছেন, দর্শকদের পক্ষ থেকে অনেক ভালো সাড়া মিলেছে। খুব কম সময়ের প্রচারনায় ১৫/১৬ হাজার দর্শক মাঠে এসেছে এইটা ফুটবলের জন্য অনেক ভালো দিক।