| রাত ১:৩৬ - বৃহস্পতিবার - ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নেত্রকোনায় দু’দিনের শাহ্‌ আবদুল করিম জন্ম শতবার্ষিকী উৎসব

নেত্রকোনা প্রতিনিধি ঃ বাউল সম্রাট শাহ্‌ আব্দুল করিমের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে জন্মশত বার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা পাবলিক হলে দু’দিন ব্যাপী ‘শাহ্‌ আবদুল করিম জন্মশত বার্ষিকী উৎসব’ শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিৰাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার।
শাহ্‌ আব্দুল করিম জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব গোলাম কদ্দুছের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম সংগঠক, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সাবেক ছাত্র নেতা শফি আহমেদ, নেত্রকোনা সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি সরোজ মোস্তফা, রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যৰ গোলাম মোস্তফা। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ্‌ পলাশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক যতীন সরকার বলেছেন, বাউল সাধক শাহ্‌ আবদুল করিম তার গানের বাণী আর সোঁদামাটির গন্ধে ভরা সুরের যাদুকরী স্পর্শ্বে শাশ্বত বাংলার লোক ঐতিহ্যকে বিশ্ব পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দিয়েছেন। মানুষের মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ আর মেলবন্ধনের চিরায়িত আকাঙ্খা তার জীবন আর সঙ্গীত সাধনায় প্রতিটি স্তরে অনুরণিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে জাতীয় সংকট উত্তরণে শাহ্‌ আবদুল করিমের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল লোকের বেশী প্রয়োজন।
সভাপতির ভাষনে সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব গোলাম কদ্দুছ বলেছেন, আজকের এই বাংলাদেশকে আমরা কখনো দেখতে চাইনি। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষনমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে নতুন করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়তে হবে। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দূর করা সম্ভব। তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান। পরে দেশ বরেণ্য শিল্পীরা শাহ্‌ আবদুল করিমের লেখা গান পরিবেশন করে উপসি’ত দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:০১ অপরাহ্ণ | জুলাই ৩০, ২০১৬