বাজিতপুরে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং, গ্রাহকদের চাপা ক্ষোভ

বাজিতপুর সংবাদদাতাঃ-২৯ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে যেন বাজিতপুর উপজেলার পিডিবির বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের মাত্রা গত কয়েক দিন ধরে বেড়ে গেছে। গত কয়েক দিন ধরে দিন ও রাত মিলে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং চলছে। এ লোডশেডিং এর মধ্যে আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মোঃ সালাহ উদ্দিন খান ইচ্ছা মাফিক বিদ্যুৎ বিতরণের ৪টি ভাগে ভাগ করেছেন। জনগনকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য। কিন্তু এ ভাগটি যেন গ্রাহকদের কাছে খারার উপর মরার ঘাঁর মতো হয়ে গেছে। শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজিতপুরের কৈলাগ মোড়, শেয়ালদী পাড়, কচুয়াখলায় স্টিল বডির নৌকার মধ্যে অবৈধ লাইন সংযোগ করে দিয়েছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এ সব অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মচারীরা মাসিক মাসোহারা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন। বৈধ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না পেয়েও বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন কৃষি বিদ্যুৎ গ্রাহক জানান, সরকার ৩.৮৮ পয়সা করে প্রতি ইউনিটে নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন’ আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী তার পরিচালিত অসাধু কর্মচারীদের দিয়ে কৃষি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিকট থেকে বানিজ্যিক বিল আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব কারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে চাপা ৰোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বাজিতপুর সহ ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে বিদ্যুৎ না থাকায় শিল্প প্রতিষ্টান গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। অন্যদিকে এ লোডশেডিং ও অতিরিক্ত খর তাপে বৃদ্ধ ও শিশুরা গরমে অতিষ্ট হয়ে ডায়রিয়া, জ্বর, হাপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে বাজিতপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো: সালাহ উদ্দিন খান কে এ লোডশেডিং সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি রাগান্বিত হয়ে গতকাল সকালে বলেন, আমাকে ফোন দিয়ে লাভ নেই, কন্টোল র্বম থেকে বিদ্যুৎ সম্পর্কে জেনে নিন।