মদনে স্লুইচ গেটের ডালা অকেজো পানি প্রবেশ করে জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশংকা
সুদর্শন আচার্য্য, মদন (নেত্রকোণা) ঃ ২৬ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ফতেপুর ইউনিয়নের তলার হাওরে নিম্নাঞ্চলের জমির ফসল রক্ষার স্লুইচ গেটের দু’ডালা অকেজো হয়ে যাওয়ায় তলার হাওড়ের কয়েকশ একর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় ভুগছেন কৃষকগণ ।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮-৮৯ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্লুইচস গেটের নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয় । রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে ও দীর্ঘদিন ধরে কোন রকম সংস্কার না করায় ২ বছর ধরে এই স্লুইচ গেটের দু’ডালা অকেজো হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে। জনগণ প্রতিবছর স্বেচ্ছা শ্রমে বালু, মাঠির বস্তা ও খর পেলে বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এ বছর পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডালার মুখে মাটি ফেলে বাধ রক্ষার চেষ্টা করলেও পানি ভেতরে প্রবেশ করছে। কৃষকরা আগাম বন্যার আশংকায় ভোগছেন। এই স্লুইচ গেটের ভেতরে কয়েকশ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়। এলাকার কৃষকগণ একমাত্র এক ফসলি ফসল ইরি-বোরো ধান ঘরে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বেরিবাঁধ এলাকার কৃষক জয়নাল জানান, সরকার এ বছর বেরিবাঁধে যেনতেন ভাবে মাটি কাটার কাজ করলেও ডালা দুটি সংস্কার না করায় ফসল রক্ষার দুচিন্তা থেকে কৃষকগণ মুক্ত হতে পারছেন না। এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই এলাকার কৃষকরা ইরি-বোরো ধান আবাধের উপর নির্ভরশীল। স্লুইচ গেটের ডালা দুটি ২ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ায় কৃষকগণ ফসল রৰার জন্য মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রৰার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কৃষকদের সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। তিনি দ্র্বত ডালা দুটি সংস্কার করার জন্য সংশিৱষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, এ বছর বেরিবাঁধে মাটি কাটা হয়েছে, আগামীতে ডালা দুটি সংস্কারের ব্যবস’া নেয়া হবে। তবে ফসল রক্ষার জন্য এ বছর স্লুইচ গেটে মাটি ফেলা হয়েছে।
ছবিঃ সংযুক্ত।