ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় আহত শতাধিক, গ্রেপ্তার ৬

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ২৬ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত শতাধীক লোক আহত হয়েছেন। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত সোমবার দিন ও রাত ভর বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আজিজুল হক ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আজিজুল হাকিমের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পৰের ১৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য আজিজুল হক প্রতিপক্ষের ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আবদুল লতিফ, হুমায়ুন ও আবদুলৱাহ নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে মাইজবাগ ইউনিয়নে হার্বয়া বাজারে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পৰের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন মাইজবাগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়া ও আবদুল মান্নান ফকির নামে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে সোমাবর জাটিয়া ইউনিয়নের ফানুর গ্রামের বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়ি ঘর ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ সাবেক মেম্বার জিয়াউল হককে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও সোহাগী, উচাখিলা, রাজিবপুর, মরিচারচর, নাউরি, মুধুপুর, আঠারাবাড়ীসহ ২০ টি স’ানে পৃথক সংঘর্ষে শতাধীক লোককে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস’্য কমপেৱক্সে ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় তিন মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি বদর্বল আলম খান।