ত্রিশালে সরকারী জমি দখল ও খাল বন্ধ করে ভবন নির্মাণ দুর্ভোগে পড়বে ৫ গ্রামের মানুষ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ২৪ এপ্রিল ২০১৬, রবিবার,
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের কানহর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরার খাল বন্ধ করে এবং সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে ভবন নির্মানের কাজ শুর্ব করেছে স্থানীয় আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই বিভিন্ন ভাবে দেওয়া হয় হুমকি আর ধমকী। ইতিমধ্যেই খালের অর্ধেক এবং সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে ভিম নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানাযায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কের পাশে বইলর কানহর বাজারে সড়কের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যায় ধরার খাল। জিয়াউর রহমানের আমলে খাল খনন কর্মসূচীর আওতায় এ খালটি খনন করা হয়। এ খাল দিয়ে বইলর ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের পাটি নিস্কাশনের একমাত্র ব্যবস্থা। বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে পানি নিস্কাশিত হয় আর অন্য সৌসুমে খালের পানি দিয়ে অনেকে ধানের আবাদ করে থাকেন। খালটির অধিকাংশ জমি এবং সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে মাটির নিচ থেকে ভিম করে নির্মাণ করা হচ্ছে বিল্ডিং। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সরকারী জমি দখলকারী আমিনুল ইসলাম ও তার ছেলেরা। স্থানীয়রা ধরার খালকে দখলমুক্ত করণ ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বহাল রাখার দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ লতিফ মজনু জানান, আমরা বার বার চেষ্ঠা করেছি খাল দখল না করার জন্য, কিন্তু পারিনি। তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন খাল ও সরকারী জমি দখলমুক্ত হয়।
ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, ৫/৬টি গ্রামের পানি নিস্কাশনের একমাত্র এ খালটি দখল করে নিলে এ এলাকা পানিতে ভেসে যাবে।
স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, সরকারী জমি দখল করে এবং খাল দখল করে ভবন নির্মানের সাহস যে এরা কোথায় পেল সেটা বুঝতে পারলাম না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুলৱাহ আল মামুন স্বাধীন জানানা, ভিম নির্মাণ করলেও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কাজ বন্ধ রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপৰের সাথে কথা বলে বাকি সিদ্ধান্ত নওেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন জানান, সরকারী সম্পত্তি দখলের প্রশ্নই আসে না। খোজ নেওয়া হয়েছে, আপাদত কাজ বন্ধ রয়েছে। কোন অবস্থাতেই সরকারী ভূমি দখল করতে দেওয়া হবে না।