ত্রিশালে পদ্মা গেইটলকের দখলে মহাসড়ক
এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন, ত্রিশাল, ২২ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
ময়মনসিংহের ত্রিশালে লোকাল বাস সার্ভিস পদ্মা গেইটলকের জন্য নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড থাকার পরও বাস মালিক ও শ্রমীকদের উদাসীনতার ফলে প্রতিনিয়তই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মত ব্যস্ততম সড়কটি দখল করে আছে। ফলে প্রতিনিয়তই এ বাসষ্ট্যান্ডে ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা আর ঘটছে প্রাণহানী। প্রায় ৩মাস আগে ত্রিশালের প্রয়াত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ত্রিশাল বাসষ্ট্যান্ডস্থ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্থানীয় লোকাল বাসগুলোর জন্য স্থায়ী ভাবে বাসস্ট্যান্ড স্থাপন করেন। কিন্তু পদ্মা গেইটলক বাস গুলোর চালক বা শ্রমীকদের উদাসীনতার ফলে বাসষ্ট্যান্ড থাকার পরও এখনো মহাসড়ক দখল করে গাড়ী দাড় করিয়ে রাখছে। মহাসড়কের উপর এভাবে বাসগুলো দাড়িয়ে থাকায় ঢাকা হতে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের গাড়ী গুলো প্রতিনিয়তই যানজটের সম্মুখিন হচ্ছে। এতে যাত্রী সাধারণ ভোগান্তিতে পড়ছেন আর সড়ক পারাপারে দূর্ঘটনার আশংকা বাড়ছে।
যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের অভিযোগ, বাস মালিক ও চালকদের উদাসীনতার ফলে মহাসড়ক দখল করে বাস দাড় করিয়ে রাখায় যানজটে পড়তে হচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে সড়ক পারাপার করতে হয়। দ্র্বত এর ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, প্রায়ই মহাসড়কে দাড়িয়ে থাকা বাস গুলো নির্ধারিত স্ট্যান্ডে রাখার কথা বলা হলেও শ্রমিক ও মালিক কতৃপৰ কোন ব্যবস’া নিচ্ছেনা। মাঝে মাঝে বাস গুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে কিছুৰন পর আবার এসে রাস্তার উপর দাড় করিয়ে রাখছে। নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জাফর রিপন জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্র্বত ব্যবস’া নেওয়া হবে।