| দুপুর ২:৫২ - শুক্রবার - ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নির্বাচনী সহিংসতায় আহত অর্ধশত এলাকায় উত্তেজনা অব্যাহত ঈশ্বরগঞ্জে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজেবির টহল জোরদার

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি- ২১ এপ্রিল ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় তফসীল ঘোষণার পর থেকে ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় এপর্যন্ত অর্ধশত আহত হয়েছে। আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপ ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আ’লীগ-আ’লীগ বিদ্রোহী, আ’লীগ-জা’পা কর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় আ’লীগের সাথে বিদ্রোহীদের উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণ করতে জোরদার করা হয়েছে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজেবির টহল। পরিসি’তি পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা যায়, গত ১৮এপ্রিল সোহাগী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েক ঘন্টা ব্যাপী চলা ওই সংঘর্ষে চার পুলিশসহ আহত হয় কমপক্ষে ২৪ জন। সরিষা ইউনিয়নে আ’লীগ প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী একরাম হোসেন ভূইয়া সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক সহ আহত হয় ৩০জন। আঠারবাড়ি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান মনির লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আ’লীগ প্রার্থী আলমগীর হোসেন সমর্থকরা ধানের শীষ সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করছে। হামলা চালিয়েছে প্রার্থীর বাড়িতেও। জাটিয়া ইউনিয়নে আ’লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হলুদ ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ৫জন আহত হয়। রাজিবপুর ইউনিয়নে আ’লীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও আ’লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম চাঁন মিয়া সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর এক নৌকা সমর্থককে গলা কেটে আহত করা হয়। আ’লীগ প্রার্থী শফিকুর রহমান ও জাপা প্রার্থী আনোয়ার্বল হাসান খান সেলিম সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনা চলছে উচাখিলা ইউনিয়নে। জা’পা প্রার্থী আনোয়ার পারভেজ ও আ’লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ মিয়ার সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও উত্তেজনা চলছে। মারধরের ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নেও। আ’লীগ প্রার্থী আবু হানিফা ও আ’লীগ বিদ্রোহী সিরাজুল ইাসলাম সমর্তকদের মাঝে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। এদিকে তার্বন্দিয়া, বড়হিত, মগটুলা ইউনিয়নেও উত্তেজনা আছে জা’পা, আ’লীগ ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, পরিসি’তি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, বিজেবি টহল জোরদার করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২১, ২০১৬