| দুপুর ১:০৫ - বৃহস্পতিবার - ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাজিতপুরে ১ সন্তানের জননীর রহস্যজনক খুন, গ্রেফতার : ১

বাজিতপুর সংবাদদাতা ঃ ১৮ এপ্রিল ২০১৬, সোমবার,

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়নের শিমুল তলা উত্ত্‌র পাড়া গ্রামে আঙ্গুর মিয়ার আমগাছের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ১ সন্তানের জননী ইতি আক্তার (২০) এর ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে আজ সোমবার সকালে। এই ঘটনায় পুলিশ আশরাফ হোসেন ওরফে ফিজু মিয়া (২৮) কে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে । এ খবর পাওয়ার পর বাজিতপুর সার্কেল মৃত্যুঞ্জয় দে সজল ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এলাকা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ২ বছর পূর্বে সাবেক সার্জেন্ট জালাল উদ্দিনের ছেলে সৌদি প্রবাসী সোহাগ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ইতির। বিয়ের সময় ইতি আক্তারের স্বামী সোহাগকে একটি হোন্ডা ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার , নগদ লক্ষাধিক টাকা যৌতুক প্রদান করা হয়। বিয়ের পর হতে আরো ৩ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন ইতি কে চাপ প্রয়োগ করে। এ টাকা দিতে না পারায় গত কিছু দিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গত রবিবার রাতে এ টাকা দিতে না পারায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে গলা টিপে হত্যা করে এক কিলোমিটার উত্তর শিমুলতলা গ্রামে আঙ্গুর মিয়ার আম গাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্ন হত্যার চালিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করার প্রক্রিয়া ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন এলাকা হতে গা ডাকা দিয়েছে বলে নিহত ইতি আক্তারের চাচা মোস্তফা কামাল হাবিবুলৱাহ দাবি করেন। এই ব্যাপারে আজ দুপুরে বাজিতপুর থানায় নিহত ইতি আক্তারের বড় ভাই মোঃ শহিদুলৱা বাদি হয়ে জালাল উদ্দিন , অন্তর মিয়া , সোহাগ মিয়া, আশ্রাফ উদ্দিন, রুপালি আক্তার,বিউটি আক্তার সহ অজ্ঞাত নামা ২-৩ জনের নাম উলেৱখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এ ব্যাপারে বলিয়াদি ইউপি নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃশফিউদ্দিন জানান,গৃহবধু ইতি আক্তারকে গাছে ঝুলিয়ে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার দাবি করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ কিশোর গঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ১৮, ২০১৬