সাংস্কৃতিক আগ্রাসন নতুন প্রজন্মকে ভয়াবহ অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা নেতৃবৃন্দ
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নববর্ষ উদযাপনের নামে অপসংস্কৃতির ভয়াবহ বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সাংস্কৃতিক আগ্রসনই বাংলাদেশের সার্বভৌম অস্তিত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখন আর ভৌগোলিক আগ্রাসনের প্রয়োজন পড়ে না। একটি জাতিকে পদানত করার জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রসনই যথেষ্ট। ফলে ভিনদেশী সাংস্কৃতির আগ্রামন মোকাবিলা করা না গেলে আমাদের নতুন প্রজন্ম ভয়াবহ অবৰয়ের শিকার হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলৰে জাতীয় প্রেসক্লাবে অবসি’ত ইউনিয়ন কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল ‘বাংলা নববর্ষ ও আমাদের ঐতিহ্য’ শীর্ষক আলোচনা, সংগীত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সহসভাপতি মুনশী আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুলৱাহ, ডিইউজে সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজে’র সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, বিএনপি নেতা প্রকৌশলী মনির্বজ্জমান মানিক, সাংবাদিক নেতা জাকির হোসেন, কামার ফরিদ, আসাদুজ্জমান আসাদ, এস এম আলমগীর, শামসুল হক বসুনিয়া, জসিম মেহেদী, সরদার শাহাদাত হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন, মতিউর রহমান সরদার, জেসমিন জুই প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মীর হোসেন মিরন, অমর হাওলাদার, সিফাত আহমেদ শাবাব প্রমুখ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন, এম এ আজিজ, কবি কামার ফরিদ, আলী মামুদ, রফিক লিটন, জসিম মেহেদী, বোরহান মাসুদ প্রমুখ। বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুলৱাহ বলেন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বাংলাদেশের সমাজ ও মূল্যবোধকে ভয়াবহ হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের আকাশ সাংস্কৃতি এবং নববর্ষ ও পূজা-পার্বনের নামে নানা অপসংস্কৃতি নতুন প্রজন্মকে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে অনেক দূরে যাচ্ছে। ফলে সমাজে খুন-খারাবি মহামারি রূপ নিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, যুব সমাজকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা না গেলে দেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না। কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, সম্রাট আকবরের আগ্রহে আমীর ফতেউলৱাহ শিরাজী বাঙলা সন প্রবর্তন করেন। পরবর্তিতে বাংলা বর্ষপঞ্জী সংস্কার এটা ত্র্বটিমুক্ত করা হয়। এখন ১৪ এপ্রিলই পয়লা বৈশাখ হচ্ছে। এর কোন ব্যাত্যয় হচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলা নতুন বছরের সত্যিকারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের অজানা। ফলে আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের পরিবর্তে বিকৃত নানা আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। বঙ্গাব্দের প্রবর্তক আমীর ফতেউলৱাহ শিরাজীর মাজার নারায়নগঞ্জের ফতুলৱায় থাকলেও নববর্ষে সেখানে কেউ জিয়ারত করতে যায় না।
এুনশী আবদুল মান্নান বলেন, অপসংস্কৃতির আগ্রাসন দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। এটা আমাদের গোটা সমাজকে কুলুষিত করছে। এ থেকে মুক্তির জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। এ এ আজিজ বলেন, বাংলা নববর্ষ যেভাবে এখন পালিত হচ্ছে তা এক দশক আগেও ছিলনা। তিনি নববর্ষে ইলিশ প্রচলনের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করে বলেন, স্রেফ ব্যবসায়িক কারণে পান্তা ভাতের সঙ্গে ইলিশ ভাজা খাওয়ার প্রথা চালু হয়। এর সঙ্গে বাংলা নববর্ষের কোন সম্পর্ক নেই।
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিয়ে নতুন বাংলা বছরে সাংবাদিকদের বেকারত্ব থেকে মুক্তি দেয়া এখন সময়ের দাবী। নবম ওয়েজবোর্ড গঠন ও অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে সাংবাদিকরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারবে না। বিএফইউজে প্রচার সম্পাদক, জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি