| রাত ৩:৪১ - শনিবার - ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা নৌকা-লাঙল মুখোমুখি এলাকায় উত্তেজনা

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি- | ৮ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার,
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন। এরই মধ্যে উচাখিলা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। প্রচারণায় বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন সংঘর্ষের প্রস’তি নিলে পুলিশ ঘটনাস’লে গিয়ে পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিকে প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলার ৯ নং উচাখিলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার্বল হাসান খান সেলিম মাঠে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার প্রতীক পেয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা মাইকিং পোস্টার সাঁটানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে রাত ৮ টার দিকে বড়ইকান্দি এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রচার মাইক গেলে প্রচারণায় বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম ও তার কর্মী সমর্থকরা। সেলিম খান জানান, সন্ধ্যার পর তার প্রচার মাইক প্রচারণা চালিয়ে বড়ইকান্দি এলাকায় গেলে আ’লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা ওই এলাকায় জাতীয়পার্টির কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না বলে প্রচার গাড়িকে চলে যেতে বলে। ওই সময় প্রচার মাইক নিয়ে যাওয়া অটোরিকশা চালক শহীদুল প্রচারণা বন্ধ করতে না চাইলে প্রচারণার মাইক ভাংচুর ও চালকে মারধর করলে স’ানীয়রা চালককে ওই পরিসি’তি থেকে উদ্ধার করে। প্রচারণায় বাধা দেওয়ার খবরে তার লোকজন রাতে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বাড়িতে এসে জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশও আসে।
এদিকে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ওই এলাকায় লাঙলের প্রচার মাইক গেলে স’ানীয় বাজারে বালু শ্রমিকদের একটি চলমান সভার ব্যাঘাত ঘটায় শ্রমিকরা মাইকটি কিছুৰনের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ করে। কিন’ অটোরিকশা চালক তা না করে প্রচারণায় চালিয়ে যাওয়া বালু শ্রমিকরা ৰিপ্ত হলে অটোরিকশা চালক চলে যান। কেউ তাদের মারধর বা ভাংচুরের চেষ্টা করেনি। চরআলগী, হাসের আলগী ও আলাদিয়ার আলগী গ্রামে নৌকার পোষ্টার লাগানো ও প্রচারণায় লাঙল প্রতীকের সমর্থকরা বাধার সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন তালুকদার জানান, প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা দুই দিকে অবস’ান নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস’লে পুলিশ পাঠিয়ে পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ##

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৮, ২০১৬