মুক্তাগাছায় শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি : ছিদ্র হয়ে গেছে শতশত টিনের চালা
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:১ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার,
মুক্তাগাছায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন গ্রামের দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলা ঝড়ে ২ শতাধিক কাঁচা টিনের বাড়ি তছনছসহ শত শত হেক্টর বোরো ফসলের ব্যাপক ৰতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক পানের বরজ। সদ্যগুটি বের হওয়া আম, লিচু ও অন্যান্য রবিশস্যেরও ব্যাপক ৰতি হয়েছে।
মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ শিলা বৃষ্টি শুর্ব হয়। এসময় সামান্য বৃষ্টির সাথে বরফের চাকার মতো শুধুই শিলা বৃষ্টি হয়। স’ানীয়রা একে শিলাঝড় হিসেবে আখ্যায়িত করে। শিলা বৃষ্টিতে মুহুর্তেই সাদা হয়ে যায় পুরো এলাকা। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা সময় ধরে চলে এ শিলাঝড়। এতে তারাটি ইউনিয়নের বিরাশি,শংকরপুর,মাঝেরবন্ধ, শশা কান্দাপাড়া, আন্দারিয়াপাড়া,চন্দ্রবাড়ি ও কলাকান্দা গ্রামের প্রায় ২শতাধিক বাড়ির ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে যায়। তছনছ হয় অনেক কাঁচা বাড়ি। এ সময় অনেকেই শিলার আঘাতে আহত হন। প্রায় ৫শ হেক্টর জমির বোরো ফসল ও শতাধিক পানের বরজ বিনষ্ট হয়। টিনের চাল ছিদ্র হওয়ায় বৃষ্টির মাঝে অসহায় অবস’া দিন কাটাচ্ছে বিধ্বস্ত এলাকার শত শত মানুষ । গতকাল শুক্রবার দুুপরে শিলা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড.উম্মে আফছারী জহুরা, কৃষি কর্মকর্তা নারগিছ আক্তার ও সংশিৱষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মনির্বজ্জামান মনির।
বিরাশী গ্রামের হতদরিদ্র আমেন খাতুন জানান, ভিৰা করে একটি টিনের ঘর তুলেছিলাম। ওই বাড়িটিও শিলা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত হওয়ায় আমি এখন কোথায় থাকব।
ওই গ্রামের নজর্বল ইসলাম মাস্টার বলেন, জীবনে এমন শিলা বৃষ্টি আর কখনো দেখিনি।
মাঝের বন্দ গ্রামের আঃ বারেক বলেন, শিলা বৃষ্টির সময় জীবন বাঁচতে ভয়ার্ত মানুষ খাটের নিচে আশ্রয় নেতে বাধ্য হয়েছে।
মুক্তাগাছার ইউএনও ড.উম্মে আফছারী জহুরা সাংবাদিকদের বলেন, শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ৰতি হয়েছে। ৰতির পরিমান নির্ধারণ ও ৰতিগ্রস্তের সঠিক তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। সরকারে পৰে থেকে সাহায্যের ব্যবস’া করা হবে।