গৌরীপুরে প্রিজাইডিং অফিসারের পথরোধ পুলিশের ৫০ রাউন্ড গুলি, আহত-১০

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, ১ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার,
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বৃহষ্পতিবার দিনভর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলেও সন্ধ্যার পর পরই কেন্দ্রের বাইরে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যায়। ফলে তিনটি ভোট কেন্দ্রের সহিংস পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ৫০ রাউন্ড ছোঁড়া গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের গৌরীপুর ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহত কারো নাম জানা যায়নি। পরাজিত প্রার্থীর লোকজন বৃহষ্পতিবার রাতে প্রিজাইডিং অফিসারের পথরোধ করে আটকিয়ে রাখায় পুলিশ ৪৩ রাউন্ড রাবার বোলেট ও ৭ রাউন্ড টিয়ারসেল ছোঁড়ে।
পুলিশ জানায়, বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাংগনামারী ইউনিয়নের লক্ষীপুর কেন্দ্র দু’মেম্বর প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া হলে কতর্ব্যরত পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন শেষে ফলাফল ও সরঞ্জামাদি নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে রাস্তা কেটে ও কলাগাছ ফেলে পরাজিত তিনজন মেম্বার প্রার্থীর লোকজন একত্রিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার সহ পুলিশের সংশিৱষ্ট কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের পথরোধ করে আটকিয়ে রাখে। তখন পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৫ রাউন্ড রাবার বোলেট ও ৭ রাউন্ড টিয়ারসেল নিৰেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে ৬জন আহত হন। রাত ৯টার দিকে সিধলা ইউনিয়নের সিধলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স’ানীয় লোকজন প্রিজাইডিং অফিসারের পথরোধ করলে পুলিশ আরো ৬ রাউন্ড রাবার বোলেট নিৰেপ করে। এদিকে গৌরীপুর ইউনিয়নের হিম্মদনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল প্রস’ত হওয়ার পরও প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় স’ানীয় প্রিজাইডিং অফিসারকে অবর্বদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০ রাউন্ড রাবার বোলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে ভোটের সরঞ্জামাদি নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আখতার মোর্শেদ জানান, পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে তিনটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে পৃথক ভাবে ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাচন সম্বনয়কারী মর্জিনা আক্তার জানান, কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। তবে এখন পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে।