| সকাল ৮:৩২ - সোমবার - ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জন-দূর্ভোগ চরমে – ঝিনাইগাতীর রাঙ্গামাটি বামনতলি বিলে ৪৪ বছরেও নির্মিত হয়নি ব্রীজ

 

এম খলিলুর রহমান ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি ঃ | ১ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরীত রাঙ্গামাটি-খাটুয়াপাড়া রাস্তা’র বামণতলী বিলে ৪৪ বছরেও নির্মিত হয়নি ব্রীজ। ফলে এ রাস্তায় যাতায়াতকারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিলেই পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলবদরদের বুলেটের আঘাতে শহীদ হন ১১ নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুলসহ আরো অনেকেই। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফকির আব্দুল মান্নান বলেন, কাটাখালী ব্রীজ ভেঙ্গে হানাদার বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস’া বিচ্ছিন্ন করতে এসে এ যুদ্ধ বাধে। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এখানে শহীদদের স্মরণে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী উঠে। এ ব্রীজটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পৰ থেকে বহুবার আবেদন-নিবেদনও করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন’ আজোও তা বাস্তবায়িত হয়নি।জানা গেছে, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেয় এলজিইডি। কিন’ মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃতদন্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরোধীতার কারনে ব্রীজটি নির্মান করা সম্ভব হয়নি। রাঙ্গামাটি খাটুয়াপাড়া, কলসপাড়, গাজীরখামাড়, কুড়ালীয়াকান্দা ও তাতালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার-হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি। এখানে একটি ব্রীজের অভাবে এসব এলাকার ইসকুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুর্ব করে পথচারীদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছে না। গর্ব-মহিষ পারাপারে মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের। এখানে ব্রীজ ছাড়াও এ রাস্তাটির বেহাল দশা। স’ানীয় প্রশাসনের পৰ থেকে এখানে কাঠের সেতু নির্মাণের নামে বিভিন্ন সময় করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা লুটপাট। এ অভিযোগ এলাকাবাসীর। গ্রামবাসীরা জানায়, বর্তমানে নড়বড়ে কাঠের সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে তাদের। এ সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে মাঝেধ্যেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। যে কোন মূহুর্তে সেতুটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকাবাসী এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক ও সংশিৱষ্ট অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসালাম বাদশা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে জেলা উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন’ কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। শেরপুরের এলজিইডি”র নিবার্হী প্রকৌশলী ভাস্কর কান্তি চেীধুরী বলেন, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে উপর মহলকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে ব্যবস’া নেয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:০৭ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০১, ২০১৬