প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান উন্নত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে — ড. মোহীত উল আলম
এইচ.এম জোবায়ের হোসাইন, ত্রিশাল অফিস, ৩০ মার্চ ২০১৬, বুধবার,
‘ছোট দেশ হলেও আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। আর প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীর তুলনায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম। এই কম সংখ্যক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে শিক্ষার মান উন্নত করা যায় সেটাই এই ওয়ার্কশপের মূল লৰ্য।’ ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে শিৰকবৃন্দকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। একজন শিক্ষক যদি তার তথ্যভিত্তিক ও সঠিক জ্ঞান দিতে না পারেন তাহলে শিক্ষার্থী ভুল পথে পরিচালিত হবে। জ্ঞান আসলে বাতাসের মতো, তাকে দেখাও যায় না, ধরাও যায় না কিন’ তার ফলাফল আছে। বাতাসকে শৃঙ্খলিত করে আমরা অনেক কাজ করতে পারি, ঠিক একইভাবে জ্ঞানকে শৃঙ্খলিত করেও আমরা অনেক কাজ করতে পারি। জ্ঞানের নেতিবাচক ব্যবহারও হয়ে থাকে, তবে আমাদের শিৰার্থীদের জ্ঞানের ইতিবাচক ব্যবহার শেখাতে হবে।’
কথাগুলো বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজর্বল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। তিনি গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের স্টুডিও থিয়েটার হলে ‘ইনসেপশন ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি)’র হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)-এর আওতায় জাককানইবি’র ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স সেল(আইকিউএসি) এর উদ্যোগে এই ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইউজিসি’র ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স ইউনিট (আইকিউএইউ)-এর প্রধান প্রফেসর ড. মেজবাহউদ্দীন আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের শিৰার মান ভালো না খারাপ সেটা বিষয় না। বিষয় হলো আমাদের শিৰার মান যেখানেই থাক সেখান থেকে আরও উন্নত করা সম্ভব। এজন্য আমাদের দুর্বলতাগুলো আগে চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।’
জাতীয় কবি কাজী নজর্বল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ), উপাচার্য দপ্তরের এস. এম. হাফিজুর রহমান জানান, আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. রশিদুন্ নবীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, কিউএ স্পেশালিস্ট প্রফেসর ড. এম আবুল কাশেম, জাককানইবি’র ট্রেজারার প্রফেসর এ এম এম শামসুর রহমান।