রবি ফাস্ট বোলার হান্টের পেসারদের ক্যাম্প শুরু
ফাস্ট বোলার খুঁজতে রবির সাথে জোট হয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জেলায় জেলায় কার্যক্রম শেষে কয়েকশ পেসারকে নির্বাচন করা হয়। সেখান থেকে ক্যাম্পের জন্য টেকানো হয়েছে ১০ জনকে।
আর এই ১০ জনের সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাঁচ জন ও বিসিবি’র ন্যাশনাল সিলেকশন প্যানেলের নির্বাচিত তিন পেসারকে নিয়ে সোমবার থেকে ক্যাম্প শুরু করেছে বিসিবির হাইপারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)। ক্যাম্পের এই ১৮ জন পেসারকে নিয়ে প্রথম দিন ইনডোরে ফিটনেসের কাজ করা হয়েছে।
ক্যাম্পের কার্যক্রম নিয়ে বিসিবি’র গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির অপারেশন্স ম্যানেজার মোহাম্মদ কাওসার বলেন, ‘প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে উঠে আসা ক্রিকেটারদের ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে কাজ করবেন কোচিং স্টাফরা। এখানে স্কিল উন্নতির পর আমাদের ৪০ দিনের ক্যাম্প করার পরিকল্পনা আছে। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইনে যারা আছেন তারাও এটার সঙ্গে যুক্ত হবেন।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের এমন অভিজ্ঞতা আগেই হয়েছে। কিন্তু ফাস্ট বোলার হান্ট থেকে যারা এসেছে তাদের কাছে ব্যাপারটি একেবারেই নতুন। অনুশীলনে সমন্বয়ে সমস্যা হবে? কাওসার অবশ্য কোনো সমস্যা দেখছেন না, ‘আমাদের প্রত্যেকটা বোলারকে নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। কার কী দরকার সে অনুযায়ী দিক-নির্দেশনা দেবেন কোচরা। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
রবি ফাস্ট বোলার হান্ট নামে কার্যক্রমে সারা দেশ থেকে অংশ নিয়েছিল কয়েক লক্ষ পেসার। এর মধ্যে ১৩৯ কি:মি: বেগে বল করে হইচাই ফেলে দিয়েছিলেন নৌ-বাহিনীতে চাকরি করা মো: এবাদত হোসেন। কিন্তু এবাদত হোসেন সরকারি চাকরি করায় ক্যাম্পে অংশ নেয়া নিয়ে তো ঝামেলা থাকছে। এটা নিয়ে কি ভাবছেন?
বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এবাদত হোসেনকে নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে। তার ভেতরে অনেক সম্ভাবনা আছে। এ নিয়ে আমরা নৌ-বাহিনীর সদর দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সে ট্রেনিং ও খেলায় অংশ নিতে পারবে-এ ব্যাপারে নৌ-বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’ সুত্রঃ প্রিয়