| রাত ১:৩৬ - বুধবার - ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সকল বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে : শেখ হাসিনা

 ঢাকা, ২৪ মার্চ ২০১৬ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সকল বাধা উপেক্ষা করেই মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে সক্ষম হব। কেউ আমাদের অগ্রগতিকে রুখতে পারবে না। আমারা সকল বাধাকে উপেক্ষা করে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলদেশকে গড়ে তুলে লাখো শহীদের আত্মতগের প্রতি যথাযখ সন্মান প্রদর্শনে সমর্থ হব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এজন্য দেশকে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য। এজন্য আমি সকলকে আহবান জানাই -এ দেশ আমরা পেয়েছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। কাজেই এই স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়। এদেশের মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায় সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
দেশকে পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলার গড়ার অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীতে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্যমুক্ত করবো। এদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা পাবে। না খেয়ে থাকবে না’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক ২০১৬তে ভূষিত করেন।
৭ জন মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাঁদের সহধর্মিনী সন্তান এবং পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন।
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মধ্যে রয়েছেন- ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কাজ করার সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজ করতে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ ত্যাগকারী ও মুক্তিযুদ্ধকালে বিদেশে জনমত সংগঠনের জন্য সংগঠক হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এম ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, সফল রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী মরহুম মৌলভী আজমত আলী খান (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধকালীর দেশের বিমানবাহিনীর প্রথম ইউনিট ’কিলো ফ্লাইট’র সক্রিয় সদস্য, দেশের বিমান বাহিনী গঠন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারী এফ-৬ সুপারসনিক বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম বীরোত্তম। ১৯৭১ সালে রাজশাহী পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হামলার প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী গঠনকারী রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার শহীদ শাহ আবদুল মজিদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে নেতৃত্ব দানকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণকারী রাঙ্গামাটির মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলী (মরণোত্তর), বাংলাদেশের সংবিধান লিপিবদ্ধকারি ও লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মরহুম এ কে এম আবদুর রউফ (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে দিল্লীতে পাকিস্তান হাইকমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগকারী ও দিল্লীতে বাংলাদেশের প্রথম মিশন প্রতিষ্ঠাকারী মরহুম কে এম শিহাব উদ্দিন (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সংগঠনে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক সৈয়দ হাসান ইমাম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য মরহুম রফিকুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আবদুস সালাম পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তোষা ও স্থানীয় জাতের পাটের জেনোম সিকুয়েন্স এবং উদ্ভিদেও ক্ষতিকর ছত্রাক ম্যাক্রোফমিনা ফ্যাসিওলিনার জীবন রহস্য আবিস্কারের জন্য কৃষি গবেষক মরহুম অধ্যাপক মাকসুদুল আলম (মরণোত্তর) এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ রাফি খান (এমআর খান)।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের সমুদ্রসীমার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় নিরলস প্রয়াস চালানোর জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননা পত্র প্রদান করেন।
নৌ-বাহিনীর প্রধান বাহিনীর পক্ষে ভাইস অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যরা স্ব স্ব পুরস্কার গ্রহণ করেন।
মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে মরহুম মৌলভী আজমত আলী খানের পক্ষে তার ছেলে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শহীদ শাহ আবদুল মজিদের পক্ষে তার ছেলে মামুন মাহমুদ শাহ, শহীদ এম আবদুল আলীর পক্ষে তার মেয়ে নাজমা আক্তার লিলি, মরহুম এ কে এম আবদুর রউফের পক্ষে তার স্ত্রী শাহানারা রউফ, মরহুম কে এম শিহাব উদ্দিনের পক্ষে তার ভাই ডা. কে এম ফরিদউদ্দিন, মরহুম রফিকুল ইসলামের পক্ষে তার স্ত্রী দিলরাজ বুলি ইসলাম এবং মরহুম অধ্যাপক মাকসুদুল আলমের পক্ষে তার স্ত্রী রাফিয়া হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং পদকপ্রাপ্তদের সাইটেশন পাঠ করেন। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বেসমারিক বিমান পরিবন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ’সহ মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, সরকারের সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাবন্দসহ দেশের সুধী সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে ক্ষমতা পেয়েছিলেন। যুদ্ধ বাংলাাদেশকে তিনি গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তিনি শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে পচাত্তরের ১৫ আগষ্ট তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমার মা, তিন ভাই ভাতৃবধূসহ সব পরিবারের ১৮ জনকে হারাই। এরপর ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফলে এদেশ আর এগোতে পারেনি। দেশে যদি ১৯টা ক্যু হয় আর প্রতিনিয়ত যদি এভাবে হত্যা চলে তাহলে সেদেশ তখনও আর্থসামাজিক উন্নতি লাভ করতে পারে না বা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সন্মানজনক অবস্থানে যেতে পারে না বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। যে সংগঠন জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশের মানুষকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয় অর্জন করেছে। কাজেই আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখন থেকেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাই। যেহেতু জাতির পিতার ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ এই ২৪ বছরের ফসল এই বাংলাদেশ এবং যেহেতু আমরা তাঁর আদর্শে বিশ্বাস করি তাই যথনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি দেশের মানুষ উন্নয়নের মুখ দেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ আজকে দারিদ্র সীমা থেকে উঠে আসছে। ৫ কোটি মানুষ নিন্মবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। আজকে আমাদের দারিদ্রসীমা ২২ ভাগে নেমে এসেছে, ইনশাল্লাহ এটাকে আমরা আরো নামিয়ে এনে দেশকে দারিদ্র মুক্ত করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোন একটি জাতির উন্নয়নের জন্য একটা দিক নির্দেশনা থাকতে হয়, একটা দিক দর্শন থাকতে হয়, ভিশন থাকতে হয়। সেটা মাথায় রেখেই আমরা ঘোষণা দিয়েছি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করবো। আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশ ইতোমধ্যে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। কিন্তুু আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনকারি জাতি। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো।
আর সে লক্ষ্য নিয়েই তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে অপনারা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা সম্মাননা পেলেন আমি আশা করি আপনাদের পদাংক অনুসরণ করবে আগামী প্রজন্ম। সেজন্য আগামী দিনেও সেভাবেই কাজ করবেন।
তিনি বলেন, পদক পাওয়ার জন্য কেউ কাজ করে না। তবে, আপনাদের এই পদকপ্রাপ্তি আগামী প্রজন্মের জন্য অণুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাদের তুলে এনে তাঁর সরকার সম্মান জানাতে চায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেকেই আছেন যাদের খবর কেউ জানে না। তবে, আমরা চাই যে যেখানে সামাজিক উন্নয়নে বা দেশের সাহিত্য জগতে বা সাংস্কৃকি জগতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন- আমরা যেন তাদের সম্মান করতে পারি। সেই তথ্য আমাদের জানা থাকা একান্তভাবেই দরকার। কাজেই আমি আশাকরি আগামীতে সেই তথ্য পাব এবং তাঁদেরকে আমরা সম্মাণিত কতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আমরা সন্মাননা দিতে চাই এই কারণেই যে- দেশের জন্য তাঁরা যে অবদান রাখলেন, জাতির জন্য অবদান রাখলেন, জাতির জন্য একটা পথিকৃৎ সুষ্টি করে গেলেন- আমরা সেই স্বীকৃতিটা দিয়ে যেতে চাই। যেন তাদের পদাংক অনুসরণ করে এ দেশের মানুষ আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারে। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা যেন বিশেষ অবদান রাখতে পারে- সেটাই আমার কামনা, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দেশ আরও উন্নত হোক, সমৃদ্ধ হোক। বাংলাদেশ নিম্নে থাকবে না, ২০২১ সালের আগে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আমরা আরো অনেক দূর যেতে যাই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ’।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ | মার্চ ২৪, ২০১৬