বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি গফরগাঁওয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের ধূম
আজহারুল হক, গফরগাঁও, ২৩ মার্চ ২০১৬, বুধবার,
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক জমিতে গম চাষ হয়েছে। উপজেলায় ইতোমধ্যে গম কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজার দর ভাল হওয়ায় গম চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। যে সকল জমিতে গম কাটা এখনো শুর্ব হয়নি সেগুলোতে সোনালী রং ধারণ করছে।
গত ইরি ও আমন মৌসুমে উৎপাদিত ধান চাষে লাভ না হওয়ায় স’ানীয় কৃষকরা এবার অধিক জমিতে গম চাষ করেছে। প্রত্যাশিত গমের বাজার দর এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলার গমচাষ বেশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ এবং আবহাওয়া দুটোই কৃষকের অনুকূলে থাকায় প্রয়োজনীয় পরিচর্যার কারণে গমের বাম্পার ফলনে খুশি উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস তথ্যমতে, এ মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। গম চাষে তেমন খরচ নেই বলে গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা এস এস ফারহানা হোসেন বলেন, গম উৎপাদনে সেচ,সার ও শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় এবং পোকা-মাকড় খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারায় কৃষকেরা গম চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। পাশা পাশি এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার টাঙাব ইউনিয়নের বামনখালী, পাঁচবাগ ইউনিয়নের চরশাঁখচূড়া গ্রামের চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, ধান চাষে লোকসান হলেও গম আবাদে সফল কৃষক তছুমুউদ্দিন ও আশরাফুল, মহসিন খান আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঠা প্রতি কম করে হলেও ৪/৫ মণ গম উৎপাদন হবে। ধান আবাদের তুলনায় গম চাষে খরচ কম, সময়ও কম লাগে। তাছাড়া উৎপাদন হয় অনেক বেশি। প্রতি কাঠা জমিতে সর্বসাকুল্যে খরচ হয় ১হাজার থেকে ১২’শ টাকা। এখন বাজার দরও অত্যন্ত ভাল। বর্তমান বাজারে নতুন গম ৮৪০ থেকে ৮৭০টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। গমের খড় বিক্রি করে অতিরিক্ত আরও টাকা উপার্জন হবে।