| সকাল ১১:০৪ - রবিবার - ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মুক্তাগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ীঘর ভেঙ্গে লুট

 

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি ।।২৩ মার্চ ২০১৬, বুধবার
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটী ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ী ঘর ভেঙ্গে নেয়াসহ বসতভিটা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে বিরাশি গ্রামের শুরেশ চন্দ্র শীল ও শৈলেন চন্দ্র শীল ছোট বেলায় বাবা মা হারান। মামার বাড়ী ময়মনসিংহের আজমতপুর থেকে বড় হন। তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি তাদের জেঠাতো ভাই যতীন্দ্র চন্দ্র শীল , মনিন্দ্র চন্দ্র শীলের তত্বাবধানে থাকে। ১৯৬২ সালে উক্ত সম্পত্তি যথারীতি শুরেশ, শৈলেন, তার পিতা যুগেশ চন্দ্র শীলের নামে আরওআর রেকর্ড হয়। ১৯৭০সালে নিজ ভিটায় আসলে নিজ বাড়ীতে বসবাস শুর্ব কর্‌ে। এসময় তারা ১৯৭১ সালে তাদের পিতার সম্পত্তি ফেরৎ চায় যতীন্দ্র শীলের কাছে। সেসময় যতীন্দ্র জানায় , মাত্র ৮ কাঠা জমি রেখে গেছে বাকী সম্পত্তি বিক্রি করে গেছে। তাদের কথামত শুরেশ ও শৈলেন ৮কাঠা জমি ভোগদখল করতে থাকে। যতীন্দ্র গংরা শুরেশদের পৈত্রিক সম্পত্তির কাগজপত্র গোপন রেখে ১৯৮৫ সালে ভূমি রেকর্ডের সময় ভূয়া কাগজ তৈরী করে তাদের নামে বিআরএস করে নেয়। শুরেশ মারা যাওয়ার পর তার সন্তানেরা অনুসন্ধান করে জানতে পারে তাদের পিতা কোন সম্পত্তি বিক্রে করে নাই। আরওআর ও সিএস রেকর্ড তার পিতা ও পিতামহের নামে হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ ল্যান্ড ট্রাইবুনালে বিআরএস সংশোধনী মামলা দায়ের করে মামলা নং ৩৬৪৫/২০১৪। উক্ত মামলা দায়ের করার পর প্রতিপৰ রবিন্দ্র চন্দ্র শীল গংরা ৰিপ্ত হয়ে জমির প্রকৃত মালিক শুরেশ চন্দ্র শীলের পুত্র মানিক চন্দ্র শীল গংদের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। ইতেমধ্যে উভয় পৰই মামলা দায়ের করে। আদালত বিরোধপূর্ণ জমির উপর সি’তাবস’া জারি করেন। আদালতের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভূমি সরেজমিন তদন্ত করে উভয়ের দখলে রয়েছে বলে উলেৱখ করেন। গত ২৯/২/২০১৬ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত দেওয়ানী আদালতে উক্ত জমির বিষয়ে বাটোয়ারা মামলা করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে রবিন্দ্র ও গোবিন্দ গংরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একটি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দল নিয়ে ১৮/৩/১৬ ইং তারিখ ভোর ৬টায় দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়ী ঘরে হামলা করে খুঁটিসহ ১৮ হাত টিনের ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হাতে মৃত শুরেশ শীলের পত্নী স্বরসতী বিশ্বাসকে মারধর করে আহত করে ঘরের যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শৈলেন শীলের পুত্র টিটন চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত বিরোধকৃত ৯.৬৮ একর সম্পত্তির অর্ধেক মালিক শৈলেন ও শুরেশ। বাকি অংশের মালিক রবিন্দ্র, যতীন্দ্র ও মনিন্দ্র। ইতিমধ্যে রবিন্দ্র, যতীন্দ্র, মনিন্দ্রসহ তাদের পিতা সাব-কাওলা দলিল মূলে বিভিন্ন জনের নিকট ৪.০০ একর জমি বিক্রি করে দেয়। মাত্র ৮৪ শতাংশ জমির মালিক হয়েও জোর পূর্বক রবিন্দ্র গংরা ২.৮৭ একর জমি দখল করে রেখেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৩৫ অপরাহ্ণ | মার্চ ২৩, ২০১৬