| রাত ৩:০৪ - শুক্রবার - ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সজাগ থাকতে হবে – প্রফেসর ড. এস ডি চৌধুরী

 

‘আমাদের দেশে পুষ্টি সমস্যা দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সজাগ থাকতে হবে। নইলে তারা সঠিক ভাবে বেড়ে উঠবে না, শরিরিক ও মানসিক নানান সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকবে।’ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন বিভাগের ডীন প্রফেসর ড. এস. ডি. চৌধুরী এসব কথা বলেন। রশিদ কৃষি খামার লিমিটেড, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ কর্তৃক আয়োজিত ‘পরিবেশক সম্মেলন- ২০১৬’ অনুষ্ঠানে বক্তব্যদানকালে চৌধুরী আরও বলেন, প্রাণীজ সম্পদ থেকে প্রাপ্ত পুষ্টিসমূহ যেমন দুধ, ডিম, মাংস এসব যাতে নিরাপদ হয়, কোন বিষাক্ত উপাদানযুক্ত না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বিষয়ে তিনি খামার কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যরহার না করতে পরামর্শ দেন। তিনি এসব পণ্যের চাহিদার তুলনায় প্রাপ্তির তুলনামূলক পরিসংখ্যান উপস’াপন করেন। সে প্রেৰিতে তিনি বলেন, আমরা এসবের চাহিদা পূরণে ভিশন ২০- ২১ এর লৰ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এগুচ্ছি। ইতোমধ্যে আগের তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি। রশিদ কৃষি খামার লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস’াপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্বনর রশিদ এর প্রশংসা করে ড. এস ডি চৌধুরী বলেন, ‘তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ছাত্র ছিলেন। ছাত্র থেকেই দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তাই আজ তার এই মহৎ প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাই।’ তিনি তার খামারকে লাভজনক করার জন্য কারিগরি কিছু পরামর্শ প্রদান করেন।

ময়মনসিংহের হোটেল সিলভার ক্যাসেল-এ খামারের চেয়ারম্যান লায়লা মাসুদ হারুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস(পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ)। তিনি বলেন, প্রকৃতিই সবচাইতে বড় শিৰক। প্রকৃতিকে অস্বীকার করে কোন কিছুই জয় করা যায় না। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় এসব প্রাকৃতিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা সহ পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি খামারীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। রশিদ কৃষি খামারের ব্যবস’াপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এ হার্বন অর রশিদ, বীর প্রতীক বলেন, ‘আমাদের শেৱাগান হচ্ছে- সুস্বাসে’্যর জন্য আন্তরিক। আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সর্বদা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এ খামারে উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান অৰুন্ন রাখতে আমরা অত্যন্ত সচেতন। এ বিষয়ে কখনো কাউকে ছাড় দেয়া হয় না। তিনি অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা ভোক্তার দেহে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এ রকম কিছু ব্যবহার করা হয় না।’ তিনি ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আরও সজাগ দুষ্টি রাাখবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন। তিনি মূল্যবান পরামর্শ প্রদানের জন্য উপসি’ত বিশেষজ্ঞ অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। খামারের চেয়ারম্যান লায়লা মাসুদ হার্বন তার বক্তব্যে বলেন, ‘পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে দ্র্বত। আমাদেরও তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীতে মানুষ বাড়ার সাথে সাথে পুষ্টি সমস্যাও বাড়ছে। এজন্য কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য। সেজন্য অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি রশিদ কৃষি খামারের পুষ্টি সমস্যা সমাধানের এ উদ্যোগকে আরও বেশি সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠান শেষে রশিদ কৃষি খামারের পক্ষ থেকে সেরা তিন জন পরিবেশককে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ | মার্চ ২১, ২০১৬