| রাত ১২:৪১ - বৃহস্পতিবার - ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রধান শিক্ষক ও কমিটি না থাকায় ধ্বংসের মুখে ভালুকার জামিরাপাড়া হাইস্কুল

ভালুকা প্রতিনিধিঃ   ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরাপাড়া এস.এম (ছমিরউদ্দিন মেমোরিয়েল) উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ কে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটির তৎকালিন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে মতবিরোধ দেখা দিলে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে মামলার সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রমে ভাটা ও  বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।  পর্যায়ক্রমে জেএসসি ও এসএসসি’র ফলাফল খারাপ হওয়ায় বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রয়েছে চরম উৎকন্ঠায়। ৫৫ বছর বয়সী উপজেলার ঐতিহ্যবাহি এ বিদ্যালয়টিকে  ধ্বংসের ধারপ্রান্ত থেকে উদ্ধারের জন্য শিক্ষাবোর্ডসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চায় এলাকাবাসী ।।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিশিষ্ট সমাজহিতোষী মরহুম লেবু উদ্দিন সরকার ভালুকার দক্ষিণ পূর্ব, গফরগাঁও এর পশ্চিম ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উত্তর জনপদের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে শিক্ষার আলোক বর্তিকা ছড়ানোর জন্য তার পিতার নামে  ৬০দশকের শুরুতে জামিরাপাড়া ছমিরউদ্দিন মেমোরিয়েল উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে এ প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল মাঝপথে ছন্দপতন ঘটে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে। বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) ও সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগের জন্য ৫ম বারের মত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।  জানুয়ারী ১০, ২০১০ ইং তারিখ উভয় পদে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। এ নিয়োগকে নিয়েই মূলক প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বজলু ও তৎকালিন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বাদশার সাথে বিরোধের জন্ম হয়। প্রধান শিক্ষকের দাবী  সভাপতি নুরুল ইসলাম বাদশা অনৈতিক পন্থায় গ্রন্থাগারিক পদে তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই কুটকৌশল অবলম্বন করে তাকে (প্রধান শিক্ষক) সাময়িক বরখাস্ত করেন। যে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে সেসব অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারী ভাবে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পায়নি। অপরদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও প্রধান শিক্ষক ও দাতা সদস্য  নিয়ে নতুন ভাবে সমস্যা দেখা দিলে থমকে যায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিধিবিধান উপেক্ষা করে শরীরচর্চা শিক্ষক থেকে নিয়োগ পাওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে অনেকটাই হয়েছে ব্যর্থ । সদ্য প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।  ক্রমাগত ভাবে ফলাফল খারাপ হওয়ায় বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রয়েছে চরম উৎকন্ঠায়।
এব্যাপারে বর্তমানে দায়িত্বরত  ভারপ্রপাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানান,  প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে মামলাসহ বিদ্যালয়ের সকল সৃষ্ট জটিতা অচিরেই নিরসন হওয়া জরুরী। বিদ্যালয়ের সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে এলাকাবাসী, প্রাক্তন শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের দাবী, বোর্ড কর্তৃপক্ষ তদন্ত রিপোটের আলোকে প্রধান শিক্ষককে স্বপদে বহাল করে নতুন ভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়ে ঐতিহ্যবাহি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৫৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ২০, ২০১৬