| রাত ৮:৫৫ - মঙ্গলবার - ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরের আলোচিত রাজ্জাক হত্যার ঘটনার আসামি মিল্টনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

শেরপুর প্রতিনিধি:   শেরপুরে আলোচিত অটোরিকশাচালক আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মিল্টন মিয়া (২৫) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। আজ ১৬ মার্চ বুধবার দুপুরে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আ.ন.ম. ইলিয়াসের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। পরে বুধবার বিকেলে শেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সাইফুর রহমানের নির্দেশে তাঁকে (মিল্টন) জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার সকালে তিনদিনের রিমান্ডশেষে শেরপুর সদর থানা পুলিশ মিল্টনকে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করে। মিল্টন জেলা শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। পুলিশ গত ১৩ মার্চ রোববার তাঁকে (মিল্টন) নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আ.ন.ম. ইলিয়াসের আদালতে প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিল্টন বলেন, গত ৭ মার্চ রাত আটটার দিকে তিনিসহ শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার সাগর ও রেজোয়ান অটোরিকশায় বেড়ানোর কথা বলে অটোচালক রাজ্জাককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টার দিকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে রাজ্জাকের অটোরিকশাটি তাঁরা ছিনতাই করেন। কিন্তু এ সময় অটোচালক রাজ্জাক তাঁদের চিনে ফেললে মিল্টন ও তাঁর সহযোগীরা রাজ্জাককে শেরপুর-শ্রীবরদী সড়কের মোবারকপুর এলাকার সেতুসংলগ্ন একটি নির্জনস্থানে নিয়ে যান এবং ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে গভীর রাতে রাজ্জাকের গলাকাটা লাশ মোবারকপুর এলাকার একটি ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে ইট চাপা দিয়ে ফেলে আসেন। মূলত. অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই চালক রাজ্জাককে তাঁরা হত্যা করেন বলে মিল্টন আদালতের নিকট স্বীকার করেন।

প্রসঙ্গত. গত ৮ মার্চ সকালে সদর থানা পুলিশ জেলা শহরের মোবারকপুর এলাকার একটি ইটভাটা থেকে ইট দিয়ে ঢাকা অবস্থায় অটোচালক রাজ্জাকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ দমদমা কালিগঞ্জ পৌর গোরস্থান এলাকা থেকে তাঁর (রাজ্জাক) রক্তমাখা জামাকাপড়সহ অটোরিকশাটিও উদ্ধার করে। নিহত রাজ্জাক শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে মিল্টন ও সাগরকে সুনির্দিষ্টভাবে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনসার আলী আদালতে আসামি মিল্টনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার অন্যআসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৬, ২০১৬