শেরপুরে নিখোঁজের ১৪ ঘন্টা পর অটোরিকশাসহ চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

শেরপুর সংবাদদাতা: শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘন্টা পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ চালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহত অটোরিকশা চালকের নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৫)। তিনি শেরপুর জেলা শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। আজ ৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাজ্জাকের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে শহরের মোবারকপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ইটভাটা থেকে রাজ্জাকের লাশ ও দমদমা কালিগঞ্জ পৌর গোরস্তান এলাকা থেকে তাঁর (রাজ্জাক) রক্তমাখা জামাকাপড়সহ অটোরিকশাটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স’ানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ সোমবার রাত আটটার দিকে শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মিল্টন ও সাগর অটোরিকশা চালক রাজ্জাককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাতে তাঁর (রাজ্জাক) সন্ধান পাননি। বিষয়টি পরিবারের পৰ থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে সদর থানায় জানানো হলে পুলিশ তাঁর সন্ধানে নেমে পড়ে। পরে পুলিশ স’ানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় রাজ্জাকের ব্যবহৃত জামাকাপড়সহ অটোরিকশাটি দমদমা কালিগঞ্জ পৌর গোরস্তান এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এ সময় এলাকাবাসী শেরপুর-শ্রীবরদী সড়কের কালিগঞ্জ অংশে রক্তের দাগ দেখতে পায়। পরে রক্তের দাগ অনুসরণ করে মোবারকপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ইটের ভাটায় গিয়ে ইট দিয়ে ঢাকা অবস’ায় রাজ্জাকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনসার আলী আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস’তি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের জন্য দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চালক রাজ্জাককে গলা কেটে হত্যা করেছে। তবে কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।