| সকাল ১০:০৪ - শুক্রবার - ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জে এক মামলাবাজ নারীর কবলে এলাকাবাসী

ঈশ্বরগঞ্জ  প্রতিনিধি-   ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মিনা আক্তার নামে এক মহিলার মামলাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও তার আত্মীয় স্বজন। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষসহ তার আত্মীয়স্বজনদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পেয়াজিয়া কান্দা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের মেয়ে মিনা আক্তার একেক বার একেক জনকে স্বামী বানিয়ে পরে স্বামী ও তার পরিবারকে মামলাদিয়ে হয়রানি করে আপোষের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, ২০১৩সালের ১৪ নভেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি উনিয়নের আঠারবাড়ি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মো. আল আমিনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোর্ট এফিডেভিট মূলে বিয়ে করে। কয়েকদিন ঘর সংসার করে আল আমিন ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি শেষ হতে না হতেই ওই আসামীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী আরেকটি মামলা দায়ের করে। ওই মিনা আক্তার এর আগে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফতেনগর (বিষ্ণপুর) গ্রামের মো: হাছেন আলীর ছেলে বাদল মিয়াকে একই কায়দায় বিয়ে করে একই অভিযোগে মামলা দিয়ে আপোষের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযোগ রয়েছে একই কায়দায় ওই নারী এরকম আরো ১০ থেকে ১৫টি বিয়ে করেছেন এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে যৌতুক ও দেন মহরের টাকা আদায় করেছেন। এছাড়া ভ্রাম্যমান দেহবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২৮  আগষ্ট ২০১৪সালে আঠারবাড়ী এলাকা থেকে গণস্বাক্ষরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এলাকার যুব সমাজ ও সামাজিক পরিবেশ রক্ষার্থে মিনা আক্তারকে দেহব্যবসায়ী উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন এলাকায় অভিযান চালালে আঠারবাড়ী থেকে পালিয়ে যায় মিনা আক্তার। বর্তমানে অজ্ঞাতস্থান থেকে একেক সময় একেক ঠিকানা উল্লেখ করে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। ভুক্তভোগীরা উক্ত নারী মিনা আক্তারের হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে মিনা আক্তারের সাথে কথা বলতে উল্লেখিত ঠিকানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
আঠারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, মিনা আক্তার ভাসমান পতিতা ওই মহিলার বিয়ের কোন হিসেবে নেই। সাধারন লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে বেকায়দায় ফেলে টাকা আদায় করাই তার ব্যবসা।
আঠারবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খন্দকার আল মামুন বলেন, মিনা আক্তারের নাম শুনেছি। সে বর্তমানে এ এলাকায় নেই। তার বিরুদ্ধে আমি আসার পর ফাঁড়িতে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:২০ অপরাহ্ণ | মার্চ ০৮, ২০১৬