| সকাল ৯:৫৪ - সোমবার - ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আজ মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা

লোকলোকান্তর ডেস্কঃ  প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেলেও কাঁপন ধরেছিল শ্রীলঙ্কার বুকে। হারতে হারতে কানের পাশ দিয়ে গুলি ছুটে যাওয়ার মতো ১৪ রানের জয়ে স্বস্তি এসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে এখন লঙ্কানদের এশিয়া কাপ শঙ্কাতে। তাদের তৃতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ আজ ভারত, যাদের বিপক্ষে এই ফরমেটে ৯ ম্যাচে ৪ বার জয়ের দেখা পেয়েছে লঙ্কানরা। এশিয়া কাপের প্রথম টি-টোয়েন্টি আসরে এরই মধ্যে ভারত দুই জয় নিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। প্রথম ম্যাচেই হারিয়েছে টাইগারদের, এরপর পাকিস্তানকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আজ লঙ্কানদের হারাতে পারলেই নিশ্চিত ফাইনাল। না হয়, আরব আমিরাতের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। অন্যদিকে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে আজ হেরে গেলে মালিঙ্গা বাহিনীর এশিয়া কাপে টিকে থাকার আশা প্রায় ক্ষীণ। কারণ, শেষ প্রতিপক্ষ তাদের শক্তিশালী পাকিস্তান। এর আগে অবশ্য বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে দিলে তাদের আর আশা থাকবে না। গেল বছরের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এবার দলে নেই অন্যতম ভরসা কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর সাঙ্গাকারা অবশ্য দল হিসেবে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন তরুণদের।
এর আগে চার ম্যাচে বাংলাদেশ লঙ্কানদের হারাতে পারেনি। তাই ৫ম ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী হয়ে অধিনায়ক মালিঙ্গা চলে গিয়েছিলেন বিশ্রামে। কারণ, ভারতের বিপক্ষে সঞ্চয় করতে হবে শক্তি। কিন্তু ২৩ রানে হেরে বদলে যাওয়া হিসাব-নিকাশ ঠিক করতে আজ আবারও মাঠে নামতে হবে অধিনায়ককেই। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ দেখায় ঢাকার মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এসেছিল ৬ উইকেটের জয়। মূলত সেটি ওয়ানডে ফরমেটে হলেও টি-টোয়েন্টি ফরমেটের এশিয়া কাপে ভারত সেই প্রতিশোধ নিতে চাইবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও উইকেট কন্ডিশন ও জয় কোনোটা নিয়েই ভাবছে না ভারত। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের রবিচন্দ্র অশ্বিন আট-দশটি সাধারণ ম্যাচের মতোই মাঠে নামার কথা বলেছেন। কিন্তু মনেপ্রাণে জয়ই প্রার্থনা করছেন তা বুঝিয়েছেন সরাসরি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচে জয়ের জন্যই মাঠে নামি।’
এবার এশিয়া কাপে অন্যতম আলোচনায় বাংলাদেশের হঠাৎ বদলে যাওয়া উইকেট ও কন্ডিশন। অশ্বিন কন্ডিশন ও উইকেট নিয়ে বলেন, ‘আমাদের উপমহাদেশের উইকেটগুলো সাধারণত স্পিনবান্ধব এবং একটু স্লোই হয়। কিন্তু এবার বাংলাদেশে সেরকম কিছুই দেখছি না। তবে আমরা কন্ডিশন ও উইকেট নিয়ে চিন্তিত নই। আমাদের  যেমন উইকেট দেবে তেমনই খেলতে হবে।’ শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৩ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে পাক পেসার আমিরের তোপে পড়ে বড় বিপদেই পড়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত দলকে উদ্ধার করেন বিরাট কোহলি। দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এছাড়াও দলে আছেন ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক অভিজ্ঞ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আছেন আরেক অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মালিক যুবরাজ সিং। এছাড়াও শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না, অশ্বিন, পান্ডিয়াদের মতো তরুণনাও যে কোনো মুহূর্তে দলের জয়ে বড় অবদান রাখতে সক্ষম।
সেই তুলনায় আনফিট অধিনায়ক মালিঙ্গা, থিসেরা পেরেইরা, হেরাথ আর ম্যাথিউজ ছাড়া লঙ্কান দলের ভরসা তরুণরাই। তাই টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নাম্বার দলের বিপক্ষে জয় এতটা সহজ হবে না তা ভালো করেই জানেন লঙ্কানরা।
অপরদিকে এশিয়া কাপকেই ভারতের টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতির চূড়ান্ত মহড়া হিসেবে নিয়েছেন ধোনির দল। গতকাল তা জানিয়ে দিলেন রবিচন্দ্র অশ্বিন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ হবে বলে জানান তিনি। অশ্বিন বলেন, ‘আসলে এই ম্যাচ জিতে আমরা ফাইনালে যাবো তা নিয়ে ভাবছি না। এটি আমাদের জন্য সাধারণ একটি ম্যাচের মতোই। আমরা এমনভাবে খেলছি যেন এটি আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে কাজে আসে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ২:০০ অপরাহ্ণ | মার্চ ০১, ২০১৬