৫ই জানুয়ারি নির্বাচন না হলে শূন্যতার সৃষ্টি হতো: আওয়ামী লীগ
অনলাইন ডেস্ক | ৫ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার,
‘গণতন্ত্র রক্ষা’ দিবসের সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক শূণ্যতার সৃষ্টি হতো। দেশে সাংবিধানিক কোন সরকার থাকতো না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে। বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতো। নির্বাচন না হলে এ দেশ রাজাকারদের দেশে পরিণত হয়। যারা উন্নয়নে বাধা দিতে চায় তাদের লক্ষ্য এদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা।
সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কিসের জন্য খালেদা জিয়া আন্দোলন করেছিলেন সেটাই এখন প্রশ্ন। তিনি আন্দোলন করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করলেন, গাড়ি পোড়ালেন অর্থনীতির ক্ষতি করলেন, পরীক্ষা বন্ধ করলেন। কিসের জন্য? গণতন্ত্রের জন্য? গণতন্ত্রের জন্য মানুষ হত্যা করতে হয় না। গাড়ি পোড়ানোর দরকার হয় না। আপনি রক্তের হোলি খেলা খেলেছেন, এদেশের মানুষ আপনার অপকর্ম ভুলবে না। নির্বাচন হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। একটি মানুষেরও প্রাণ যাবে না। প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া বলছেন তিনি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করছেন। আমরা বলি-হত্যা দিবস নয়, তাকে এখন বিলাপ দিবস পালন করতে হবে।
সমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।