| সন্ধ্যা ৬:৩০ - বুধবার - ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাজিতপুরে সাবেক ২ মেয়র, পরাজিত ২ মেয়র প্রার্থী, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, ৩ জানুয়ারি ২০১৬, রবিবার,
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে পৌরসভা নির্বাচনের দিন সহিংসতার ঘটনায় পরাজিত দুই মেয়র প্রার্থী বিএনপি প্রার্থী বর্তমান মেয়র এহেসান কুফিয়া ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত আকবরসহ ৫৮ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় দুই পরাজিত প্রার্থীর পিতা সাবেক দুই পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবদুলস্নাহ বোরহান কুফিয়া ও মিজবাহ উদ্দিন আহাম্মদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর বড় ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছারওয়ার আলমকেও আসামি করা হয়েছে। উপজেলার নোয়াহাটা গ্রামের আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। শনিবার রাতে মামলাটি (নং-৫) বাজিতপুর থানায় রেকর্ড করা হয়। দ-বিধির ৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/১১৪ ধারায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদী মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে উলেস্নখ করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নির্বাচনের দিন সকাল সোয়া ১১টার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৈলনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আশরাফের উপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে বাদী জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ১১টা ২৫মিনিটে ওই কেন্দ্রে যান। সেখানে তাদের বহিরাগত আখ্যা দিয়ে হুমকি ধমকির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারপিট করতে থাকে। এতে বাদী জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া গুরম্নতর আহত হলে তাকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আসামিদের হামলায় জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হন বলে এজাহারে উলেস্নখ করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পিতা প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা (সদ্য বহিস্কৃত) সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মিজবাহ উদ্দিন আহাম্মদকে ১নং, বিএনপি প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র এহেসান কুফিয়াকে ২নং, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বড় ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছারওয়ার আলমকে ৩নং, বিএনপি প্রার্থীর পিতা সাবেক পৌর মেয়র আবদুলস্নাহ বোরহান কুফিয়াকে ৪নং এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত আকবরকে ৫নং আসামি করা হয়েছে।
বাজিতপুর থানার ওসি শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় রোববার বিকাল ৫টা পর্যনত্ম কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৩২ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ০৩, ২০১৬