| রাত ১০:৩৭ - বৃহস্পতিবার - ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ঝিনাইগাতীতে মামলা তুলে নিতে বাদীকে আসামীদের হুমকি

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা,. ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার,
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের রত্মেশ্বর চন্দ্র বর্মণ পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে  ২৬ ডিসেম্বর শনিবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রত্মেশ্বর চন্দ্র বর্মণ বলেন, খৈলকুড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে মাধবীর সাথে তার ছেলে অরবিন্দু চন্দ্র বর্মণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুলাল মিয়া ১৫ অক্টোবর রাতে মাদুবীকে দিয়ে তার ছেলে অরবিন্দুকে ডেকে নিয়ে গাছের সাধে বেধে বেধরক মারপিট করে। এরপর থেকে রত্মেশ্বর তার ছেলের দেখা পায়নি বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। । ১৭ অক্টোবর গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বিষপানরত অবস্থায় মৃত প্রায় অরবিন্দু’র সন্ধান পায়। উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ২৬ নভেম্বর রত্মেশ্বর চন্দ্র বর্মণ পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে ৬ জনকে আসামী করে শেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এফআইআর করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশ বলে থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআর করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যনত্ম কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে রত্মেশ্বর ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ মামলা করার পর থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের দেশ থেকে বিতাড়িত করাসহ আসামীরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে বর্তমানে রত্মেশ্বর চন্দ্র বর্মণ ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এ ব্যাপারে রত্মেশ্বর চন্দ্র বর্মণ ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অরবিন্দু হত্যার সাথে জড়িতদের বিরম্নদ্ধে দ্রম্নত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে দুলাল মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পুরো ঘটনাটি সাজানো ও ষড়যন্ত্র। ওসি মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৩৮ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫