| রাত ৮:০৩ - সোমবার - ২২শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১লা জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

বাজিতপুর পৌর নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষে লড়াই হবে তীব্র

 ঃ
মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর সংবাদদাতাঃ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার,
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর পৌরসভার লক্ষাধিক জনসংখ্যার ১৪৬ বছরের পৌর সভার মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৩০জন। মেয়র প্রার্থী ৪ জন হলেও মূলত নৌকা ও ধানের শীষ মার্কায় তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ হতে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেনের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন আশরাফ দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তিনি গত ৪ বছর ধরে বাজিতপুরের আনাচে কানাচে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন। দিন যত যাচ্ছে ততই নৌকার ভোটের দিকে পৌরবাসীকে নৌকার কর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষন করছেন। অপরদিকে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানের নেমেছেন পৌর বি এন পির আহবায়ক বর্তমান মেয়র এহেসান কুফিয়া। এবারের নির্বাচনটি পৌর বাসীর জন্য একটি কঠিন নির্বাচন। স্বাধীনতার পূর্ব হতে প্রায় ৫০ বছর ধরে ২টি পরিবার বাজিতপুর পৌর সভাটি শাশন করে আসছে। স্বাধীনতার পূর্বে আব্দুলস্নাহ্‌ বোরহান কুফিয়া এক বার কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কম বেশি বির্তকিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মিজবাহ উদ্দিন আহম্মদ রিলিভ কমিটির চেয়ারম্যার নির্বাচিত হন। এ পর্যনত্ম এ পৌর সভাটি আওয়ামীলীগ বনাম এন্টি আওয়ামীলীগ হিসাবে চলে আসছে। সে সুযোগে আব্দুল্লাহ বোরহান কুফিয়া ও মিজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ পর্যায়ক্রমে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। জানা যায় আব্দুল্লাহ বোরহান কুফিয়া ৫ বার চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। অন্য দিকে মিজবাহ উদ্দিন আহাম্মদ ৪ বার চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। কিনত্মু এ ২টি পরিবার পৌর সভার রাস্তাঘাটের খুর একটা উন্নতি করতে পারেনি বলে সব্রত্রই পৌর বাসীদের অভিযোগ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আব্দুলস্নাহ বোরহান কুফিয়ার ছোট ভাই এয়াকুব কুফিয়া হেলাল এক বার মেয়র, বর্তমান মেয়র আব্দুলাহ বোরহান কুফিয়ার ছেলে এহেসান কুফিয়া এক বার মেয়র নির্বাচিত হন। মিজবাহ উদ্দিনের ছেলে বর্তমান উজেলার চেয়ারম্যান মোঃ সারোয়ার আলম এহেসান কুফিয়ার কাছে গত পৌর নির্বাচনের ৭ শতাধিক ভোটে পরাজিত হয়ে ছিলেন। এ নির্বাচনে মিজবাহ উদ্দিনের ছেলে শওকত আকবর দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে জগ প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এর ফলে পৌর সভায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে এ পর্যনত্ম। একে অপরকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রম করছে। এতে করে পৌর সভার ভোটারা সব চেয়ে বেশি বিব্রত বোধ হচ্ছে। ভোটারদের ভেতরে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা ভেতরে রয়েছে। এরিই মধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শওকত আকবরের পিতা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমান যুগ্ন আহবায়ক হাজী মিজবাহ উদ্দিন আহম্মদ ও আওয়ামীলীগের সদস্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সারোয়ার আলমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে কারণে গদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ ২টি পরিবারের নিজস্ব ব্যাংক ভোট তৈরি হয়েছে। এবার দলীও প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হচ্ছে, সেহেতু দলের প্রতী নেতা কর্মী ও সমর্ধকরা দলীয় প্রতীকেই ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। ফলে ভোটের চিত্র পালটে যেতে পারে। বিদ্রোহী প্রার্থীনা থাকলে সরকার দলের বিজয়টা আরো সহজ হয়ে যেতে পারতো। গত ৫ বছরে বর্তমান মেয়র এহেসান কুফিয়া বিদ্যুতের খুটিতে লাইট পোষ্টিং দিয়ে রাতে পৌর বাসীদের আলো, পৌর রাসত্মা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছাড়া এবং ছোট কয়েক টি রাসত্মা নির্মান ছাড়া আর কোন উন্নয়ন করা তার পড়্গে সম্ভব হয়নি বলে পৌর বাসীদের অভিযোগ। এহেসান কুফিয়া জানান, গত ৫ বছরে বিরোধী দলীয় মেয়র থাকার কারণে তার পড়্গে দৃশ্য মান কোন উন্নয়ন কার সম্ভকব হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। সমস্ত পৌর সভার রাসত্মা খানা খন্দে ভরা রয়েছে। এদিকে নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি রয়েছ। সমসত্ম পৌর সভায় সাদা কালো পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। ৪জন মেয়র, ১০ জন সংরড়্গিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যনত্ম নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া মাইকিং হওয়ার কথা রয়েছে। অন্য দিকে ইসলামীক আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মোঃ সেলিম খান পাখা প্রতিকের ভোট প্রার্থনা করছেন সর্বত্র।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৩০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫