| দুপুর ১২:৪৩ - বৃহস্পতিবার - ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ময়মনসিংহে ৩ দিনের এস্তেমা

স্টাফ রিপোর্টার | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার,
লাখো মুসল্লীর অংশ গ্রহণে আজ শনিবার সকালে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহের আকুয়ায় তিন দিনব্যাপী দাওয়াতে তাবলিগ জামাতের এস্তেমা সমাপ্ত হয়েছে। মহান আল্ল্লাহতায়ালাকে রাজি খুশি করা ও রহমত পাওয়ার আশায় গত ১৭ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ময়মনসিংহের আকুয়ায় এস্তেমা শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী এই এস্তেমায় কাকরাইলের মুরব্বীগন বয়ান করেন। ময়মনসিংহের আকুয়া বাইপাস মোড় সংলগ্ন তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গন ময়দানে বিশাল প্যান্ডেলে এই এস্তেমা শেষ হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লী মহান আল্ল্লাহর দরবারে হাত তুলে দেশের কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য প্রার্থনা করেন। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ইজতেমা ময়দান। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লীরা ছাড়াও আশপাশের এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ মাঠে, সড়কে, বাসার ছাদে, বাস-ট্রাকে কিংবা ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়ে মোনাজাত করেন। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের খোলা জায়গা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে এবং রাস্তায় খড়, মাদুর, পাটি, খবরের কাগজ, পলিথিন এবং জায়নামাজ বিছিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। এজতেমায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৪৬টি ইউনিয়নের হাজার হাজার তাবলিগের সাথীরা অংশগ্রহণ করেন। ইজতেমার জন্য ময়মনসিংহ জেলার সব মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য মাঠকে ১৩টি খিত্তায় ভাগ করা হয়। খিত্তাওয়ারী মুসল্লিরা অবস্থান করেন- ১নং খিত্তায় নান্দাইল, ২নং খিত্তায় ভালুকা, ৩নং খিত্তায় মুক্তাগাছা, ৪নং খিত্তায় গফরগাঁও, ৫নং খিত্তায় পাগলা, ৬নং খিত্তায় ধোবাউড়া, ৭নং খিত্তায় হালুয়াঘাট, ৮নং খিত্তায় ফুলবাড়ীয়া, ৯নং খিত্তায় ঈশ্বরগঞ্জ, ১০নং খিত্তায় ত্রিশাল, ১১নং খিত্তায় গৌরীপুর, ১২নং খিত্তায় ফুলপুর ও ১৩নং খিত্তায় তারাকান্দার তাবলীগের সাথীরা নিজ নিজ উপজেলার জামাত নিয়ে অবস্থান নেন। এই ইজতেমা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক দাওয়াতে তাবলিগ জামাত মহান আল্লাহতায়ালাকে রাজি খুশি করা ও রহমত পাওয়ার আশায় তিন চিল্লা এবং এক চিল্লার জন্য বেরিয়ে যান।
ইজতেমাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ময়দানে প্রবেশের মোড়ে মোড়ে পুলিশ বক্স স্থাপন করা হয়। এছাড়া র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি ও পুলিশের বিশেষ টহল নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৪০ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫