| দুপুর ১২:১০ - শুক্রবার - ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিক্ষা বঞ্চিত ধোবাউড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা মানবেতর জীবন,

 

ধোবাউড়া প্রতিনিধি ঃ ১৪ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার,
২৮ বছর পূর্বে তৎকালীন হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলে ৭৫ টি পরিবার নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার নয়নকান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি গুচ্ছ গ্রাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানকার বাসিন্দারা। অদ্যবধি তারা পায়নি শিড়্গার আলো। দীর্ঘ ২৮ বছরের পথ চলায় গুচ্ছ গ্রাম থেকে জোনাব আলীর ছেলে খোকন মিয়া এস.এস.সি পাশ করেছে। বাকীদের কেউ তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির গন্ডিও পেরোতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন(৫৫) বলেন অভাবের সংসার আর আশেপাশে কোন বিদ্যালয় না থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করানো সম্ভব হয়না। আজিম উদ্দিন(৬০) বলেন আমরা অন্যের বাড়িতে কাজ করি কোনরকম বেঁচে আছি। উপজেলা সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম জানান প্রায় ১৫ একর জমি নিয়ে নয়নকান্দি গুচ্ছ গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমি ইতোমধ্যে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি ঘরগুলো জরাজির্ণ অবস’ায় রয়েছে বিষয়টি মিটিংএ উত্থাপন করা হবে। এদিকে বিশাল এলাকা নিয়ে গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠিত হলেও কেন অন্যের জমিতে কাজ করতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানান জমি সব স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায় উপজেলার হরিপুর গ্রামের তালেব হোসেন (৭০) ও তারাইকান্দি গ্রামের মোফাজ্জল মাষ্টার গুচ্ছ গ্রামের জমি দখল করে চাষাবাদ করে আসছে। এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বললে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমরা আমাদের নিজের জমিতে চাষ করি। গুচ্ছ গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নেই রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল। বর্ষার মৌসুমে সবাইকে পানিবন্দী অবস্থায় থাকতে হয়।এ ব্যাপারে স্থানীয় সুরম্নজ আলী বলেন, নির্বাচন এলেই কিছু নেতাদের দেখা যায় এছাড়া কেউ কোনদিন আমাদের গ্রামে আসেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান বলেন নয়নকান্দিতে একটি গুচ্ছ গ্রাম ছিল আমার জানা ছিলনা এখন খোঁজ নিয়ে দেখব কি করা যায়।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:১৬ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১৪, ২০১৫