| সকাল ১১:৩৯ - বৃহস্পতিবার - ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নূর হোসেন কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক |১৩ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার,
সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে নারায়াণগঞ্জের আদালত। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলাম সাত খুনসহ ১১ মামলায় নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।  এসব মামলার সবগুলোতেই অভিযোগপত্র হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। নূর হোসেনের জামিনের জন্যও কোন আবেদন করেননি কোনো আইনজীবী। নূর হোসেনকে আদালতে তোলার নয় মিনিটের মধ্যে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং এরপর সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে তাকে রাখা হয় রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ কার্যালয়ে। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে  তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে। সেখান থেকেই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১১টি মামলা ও ফতুল্লা মডেল থানায় দুইটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১০টি জিআর মামলা, ২টি সিআর মামলা ও একটি কনভিকশন হয়েছে। ওই ১৩টি মামলাতেই নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।  নূর হোসেনকে রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, যেহেতু নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলাতেই আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে সেহেতু তাকে রিমান্ড চাওয়ার সুযোগ নেই। গত বছরের ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান প্রধান আসামি নূর হোসেন। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সাত খুনের মামলায় র‌্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার এমএম রানা, নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেনসহ এখনও ১৩ জন পলাতক।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৩৪ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১৩, ২০১৫