| দুপুর ১২:৪১ - শুক্রবার - ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরগঞ্জে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়

সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ,১২ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার:
কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। শহরের হাশমত উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। তড়িঘড়ি এসব অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য কৌশল হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণের তোড়জোড় চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, তাদের সন্তানদের এসএসসির ফরম পূরণে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র বাইরে আরো অন্তত ২ হাজর টাকা বাড়তি গুণতে হচ্ছে। এর মধ্যে ফরম পূরণ বাবদ বাড়তি এক হাজার এবং ‘স্পেশাল ক্লাস’ নেয়ার কথা বলে আরো এক হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। কিন’ টাকার বিপরীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন রশিদও দিচ্ছেন না। এছাড়া বিলম্ব ফি ছাড়া ১৯শে নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণের বোর্ডের নির্দেশনা থাকলেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করার জন্য ১২ই নভেম্বর শেষ তারিখের কথা বলে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
হাশমত উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়টিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এর মধ্যে স্পেশাল ক্লাশ নেয়ার কথা বলে আদায় করা হচ্ছে এক হাজার টাকা। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় একই রকম হারে শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, জেলা স্মরণী উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি ছাড়া কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারবেন না। তিনি জানান, একজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষা ফি বাবদ বিষয় প্রতি ৭০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ বিষয় প্রতি ৩০ টাকা, এডুকেশন ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৩৫ টাকা, সনদপত্র বাবদ ১০০ টাকা, স্কাউট ফি ১৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২৫০ টাকা আদায় করার কথা। যারা ১১ বিষয়ে পরীক্ষা দেবে এবং ৪ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেবে তাদেরকে মোট এক হাজার ২৯৫ টাকা দিতে হবে। এর বেশি টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, কোন অভিভাবক যদি বাড়তি টাকা আদায়ের ব্যাপারে অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস’া নেয়া হবে।
হাশমত উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রসঙ্গ তুললে তিনি জানান, বাড়তি দুই হাজার টাকা আদায় করা হয়নি। তবে অভিভাবকদের আগ্রহেই স্পেশাল ক্লাশের জন্য বাড়তি এক হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। আদায়কৃত টাকা বাবদ কেন রশিদ দেয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে প্রধান শিক্ষক জানান, আমরা রশিদটি পরে দিয়ে দেব।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১২, ২০১৫