পিতা-মাতা হত্যায় ঐশীর মৃত্যুদণ্ড | মেনে নিতে পারছেনা পরিবার
অনলাইন ডেস্ক | ১২ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার,
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এই রায় দেন। মামলার অপর আসামি ঐশির বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মিজানুর রহমান রানিকে খালাস দিয়েছে আদালত। এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে ঐশীকে আদালতে আনা হয়। দীর্ঘ যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ৪ নভেম্বর তিনিই রায়ের এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ঐশীদের বাসার শিশু গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু আদালতে। গত বছরের ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে সে।
এসবি ইন্সপেক্টর ও স্ত্রী হত্যা মামলায় ঐশীর ফাঁসির রায়: মেনে নিতে পারছেনা পরিবার
আনছারুল হক রাসেল: এসবি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার মামলার প্রধান আসামী তাদের একমাত্র কন্যা ঐশী রহমানের ফাসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এই রায়ের খবর শুনে ঐশীর দাদী মোকছেদা খাতুন (৭০) বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। ঐশীর গ্রামের বাড়ি হালুয়াঘাটের মরাগাংকান্দায় গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে ঐশীর একমাত্র চাচা মশিহুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। বর্তমানে তারা সকলেই ময়মনসিংহের ভাড়া বাসায় অবস’ান করছেন। তিনি বলেন ঐশী অপ্রাপ্ত বয়স্কা, এবং হত্যকান্ডের সাথে জড়িত নয়। তিনি প্রকৃত হত্যাকারীদের আরো কঠোর শাসি- দাবি করেন। ঐশীর বেখসুর খালাস দাবি করে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে তিনি জানান। ঐশীর পরিবার এই রায়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন।