শেরপুরে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ১ জনের কারাদন্ড : জরিমানা

শেরপুর প্রতিনিধি: ১১ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার,
শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে বাবুল আহমেদ (৩৫) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন। এসময় আদালত অন্য তিনটি ওষুধের দোকানের মালিককে চার হাজার টাকা জরিমানা করেন।
শেরপুরের নির্বাহী হাকিম মো. মেহেদী হাসান গত ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে অবসি’ত বাবুল মেডিকেলসহ অন্য তিনটি দোকানে এ অভিযান চালান।
দন্ডপ্রাপ্ত বাবুল উপজেলার লছমনপুর গ্রামের বকুলের ছেলে এবং বাবুল মেডিকেল হলের মালিক। গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত বাবুল আহমেদ নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে আসছেন- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী হাকিম মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত মঙ্গলবার রাতে বাবুল মেডিকেল হলে অভিযান চালান। এসময় ওই দোকান থেকে দুই হাজার ১ শ’টি নকল ‘ক্যালবো-ডি’ বড়ি জব্দ করা হয়। এসব ওষুধ গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ বলে ওষুধ তত্বাবধায়ক মো. সাখাওয়াত হোসেন আকন্দ জানান।
পরে আদালত অবৈধভাবে নকল ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে ১৯৪০ সনের ড্রাগ আইনের ১৮ (এ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বাবুল আহমেদকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি করার অভিযোগে কুসুমহাটি বাজারে অবসি’ত সীমান্ত মেডিকেল হলের মালিক মহসীন আলীকে দুই হাজার টাকা, আরতি ঔষধালয়ের মালিক অজয় নন্দীকে ৫ শ টাকা এবং প্রতিভা মেডিকেল হলের মালিক লিটন নন্দীকে এক হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (শেরপুর-জামালপুর) তত্ত্বাবধায়ক মো. সাখাওয়াত হোসেন আকন্দ উপসি’ত ছিলেন।
নির্বাহী হাকিম মো. মেহেদী হাসান অভিযান পরিচালনা ও দন্ড প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে আজ বুধবার বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।