শেরপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় ছাত্রী আহত প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ: যান চলাচল বন্ধ

শেরপুর প্রতিনিধি: ১১ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার,
শেরপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে ইন্সটিটিউিটের শিক্ষার্থীরা আজ ১১ নভেম্বর বুধবার শেরপুর-ঢাকা মহাসড়ক তিন ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। এসময় ওই সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। আহত ছাত্রীর নাম আকলিমা আক্তার (১৮)। তিনি ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং জামালপুর জেলা শহরের গেটপাড় দড়িপাড়া এলাকার আয়নাল হকের মেয়ে। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ইন্সটিটিউট সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকায় অবসি’ত পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সামনের সড়ক পার হওয়ার সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আকলিমা বেগমকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে আকলিমা গুরুতর আহত হন। ঘটনার পরপরই অন্য শিড়্গার্থী ও এলাকাবাসী তাঁকে (আকলিমা) উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস’ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আকলিমার মুখের কয়েকটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তিনি শরীরের বিভিন্নস’ানে আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনায় আকলিমার আহত হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ইন্সটিটিউটের সকল শিক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে আজ সকাল নয়টার দিকে তাঁরা ইন্সটিটিউটের সামনের শেরপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাতশালা এলাকায় অবসি’ত ইন্সটিটিউটের সামনের সড়কের দুই পার্শ্বে গতিরোধক স্থাপনসহ নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য ‘জেব্রা ক্রসিংয়ের’ দাবি জানান। সকাল নয়টা থেকে বেলা ১২টা পর্যনত্ম অবরোধ চলাকালে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
সংবাদ পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারীশ ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহজাহান মিঞাসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস’লে এসে পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপড়্গের মাধ্যমে গতিরোধক নির্মাণের আশ্বাস দিলে শিড়্গার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
ইন্সটিটিউটের পুর কৌশল বিভাগের প্রশিক্ষক (টেক) মো. রাশেদুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনায় ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা হিসেবে প্রায় এক দশক আগে ইন্সটিটিউটের সামনের সড়কটিতে দুটি গতিরোধক স’াপন করা হয়েছিল। কিন’ সম্প্রতি গতিরোধক দুটি অপসারণ করায় এখন মাঝে-মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং হতাহত হচ্ছে। তাই ইন্সটিটিউিটের সামনের সড়কটিতে পুনরায় গতিরোধক স’াপন করা জরুরী বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারীশ আজ বুধবার বিকেলে বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস’তি চলছে। পুলিশ দায়ী সিএনজি অটোরিকশাটি আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া ইন্সটিটিউটের সামনের সড়কটিতে গতিরোধক স্থাপনের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদড়্গেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।