ঈশ্বরগঞ্জে ২০ হাজার টাকার জন্য খুন হয় দুলাল : আদালতে ভগ্নিপতির স্বীকারোক্তি

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ১০ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার,
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের ভালুকবেড় উত্তরপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য ৫ জন মিলে চালায় ওই হত্যাযজ্ঞ। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর নিহত দুলালের ভগ্নিপতি মাসুদ মিয়া মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উপজেলার ভালুকবেড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সুরম্নজ আলীর ছেলে দুলাল মিয়ার ড়্গতবিড়্গত লাশ রোববার দুপুরে পাওয়া যায় বাড়ির পাশে বৌলা বিলে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে সে আর ঘরে ফেরেনি। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে রোববার রাতে অজ্ঞাত নামা আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিন গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুলালের চাচাতো ভগ্নিপতি মাসুদ মিয়া (২৩) কে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আাটককৃতের সাথে নিহত দুলালের ২০ হাজার টাকার বিরোধ ছিলো। পাওনা ২০ হাজার টাকা চাওয়ায় দুলালের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো চাচাতো ভগ্নিপতি মাসুদ। সেই সাথে চাচাতো বোনকে ছেড়ে দেওয়ার পর আবার তার কাছে আসা যাওয়ায় বাঁধা দিতো দুলাল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ জন মিলে হত্যাকান্ডটি ঘটনায়। ধারালো অস্ত্রদিয়ে অনত্মত ১২টি আঘাত করে হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিচারক রফিকুল ইসলাম বারীর আদালতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টাব্যাপী হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মাসুদ। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার আদালতে হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মাসুদ। বাকি চার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।